📚 'রাবণ-অনুজ, লক্ষি রাবণ-আত্মজে'-এখানে 'লক্ষি' শব্দটি কোন পদ ?
- Author: Siam Al Mahmud
- Published: 1 week ago
- Category: বাংলা
-
Explanation:
কেন ক্রিয়া পদ তা জানতে আগে জেনে নেই কাব্যে উক্তিটুকু কি বলা আছে- হেন অপমান আমি,-ভ্রাতৃ-পুত্র তব? তুমিও, হে রক্ষোমণি, সহিছ কেমনে?” মহামন্ত্র-বলে যথা নরশিরঃ ফণী, মলিনবদন লাজে, উত্তরিলা রথী রাবণ-অনুজ, লক্ষি রাবণ-আত্মজে; “নহি দোষী আমি, বৎস; বৃথা ভর্ৎস মোরে তুমি! নিজ কর্ম-দোষে, হায়, মজাইলা এ কনক-লঙ্কা রাজা, মহিলা আপনি! বিরত সতত পাপে দেবকুল; এবে পাপপূর্ণ লঙ্কাপুরী; প্রলয়ে যেমতি বসুধা, ডুবিছে লঙ্কা এ কালসলিলে!
এর অর্থ দাঁড়ায়- হেন (এই) অপমান আমি,-ভ্রাতৃ-পুত্র তব? (তোমার ভাতিজা হয়ে এই অপমান আমি কীভাবে সহ্য করব) তুমিও, হে রক্ষোমণি, সহিছ কেমনে?” মহামন্ত্র-বলে যথা (যেভাবে) নম্রশিরঃ ফণী, (মন্ত্রের কারণে সাপ যেভাবে মাথা নিচু করে থাকে) মলিনবদন লাজে, উত্তরিলা রথী (মলিন ও লজ্জা মুখে বিভীষণ মেঘনাদকে লক্ষ্য করে উত্তর দিল) রাবণ-অনুজ (বিভীষণ), লক্ষি (লক্ষ্য করে) রাবণ-আত্মজে; (মেঘনাদ) “নহি দোষী আমি, বৎস; বৃথা ভর্ৎস মোরে (শুধু শুধু আমাকে তিরস্কার করছ) তুমি! নিজ কর্ম-দোষে, হায়, মজাইলা (বিপদগ্রস্ত করা) এ কনক-লঙ্কা (স্বর্গীয় লঙ্কারাজ্য) রাজা, মজিলা আপনি! (বিপদে পড়া) বিরত সতত পাপে দেবকুল; এবে (এখন) (দেবতাদের সর্বদা পাপমুক্ত থাকা উচিত) পাপপূর্ণ লঙ্কাপুরী; প্রলয়ে যেমতি (মহাপ্রলয়ে পৃথিবী যেভাবে ধ্বংস হয়) বসুধা (পৃথিবী), ডুবিছে লঙ্কা এ কালসলিলে! (সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে)
অর্থাৎ রাবণ-অনুজ, লক্ষি রাবণ-আত্মজে অর্থ বিভীষণ মেঘনাদকে লক্ষ্য করে। এখানে লক্ষ্য করা একটি কাজ। এবার যদি ক্রিয়া পদের সম্পর্কে জানতে চাই, তাহলে বলতে হয় - যে পদের দ্বারা (বা দিয়ে) কোনো কার্য সম্পাদন (অথবা কাজ করা) বোঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। যেহেতু বিভীষণ মেঘনাদকে লক্ষ্য করে বাক্যে লক্ষ্য করা একটি কাজ, তাই এটি ক্রিয়া পদ।