⚖️ কখন তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করা হয়?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 3 weeks ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৬ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম ২৮০ মোতাবেক কোনো দলিল, বস্তু, অস্ত্রশস্ত্র, চোরাইমাল উদ্ধার বা কোনো ব্যক্তিকে আটক অবস্থা হইতে উদ্ধার করার জন্য আদালত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারেন।
(১) যদি আদালত মনে করেন যে, ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৪ ও ৯৫(১) ধারা কার্যকরী নাও হইতে পারে, ন্যায় বিচারের সার্থে কোন বস্তুর জন্য তল্লাশী বা অনুসন্দধান প্রয়োজন, তখন তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারেন।
(২) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৬(২) ধারামতে ডাক, তার বা তার কর্তৃপক্ষের হেফাজত হইতে রক্ষিত কোনো দলিল বা অন্য কোনো বস্তু তল্লাশীর জন্য আদালত তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারেন।
(৩) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৮ ধারা মোতাবেক যখন আদালত তদন্তান্তে সন্তোষ্ট হন যে, কোনো স্থানে থাকা চোরাইমাল বা জাল দলিল বা নকল সীল বা জাল টিকিট বা জাল মুদ্রা সংস্লিষ্ট সরঞ্জাম জরুরী ভিত্তিতে উদ্ধার করা প্রয়োজন অথবা কোনো স্থানে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ২৯২ ধারায় বর্ণিত কোনো অশ্লীল বস্তু রহিয়াছে, তখন আদালত তাল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারেন।
(৪) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৯৯-ক ধারার বিধান মোতাবেক যখন সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ১৯৭৩ সালের প্রিন্টিং প্রেস এন্ড পাবলিকেশন আইনে বর্ণিত কোনো সংবাদপত্র বা পুস্তকে সরকার বিরোধী বা ধর্মীয় অনুভুতির বিরোধী কোনো বিষয় যাহা জনমনে ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করিতে পারে, এইরূপ সকল বাজেয়াপ্তকৃত বই পুস্তকাদী আটক বা উদ্ধারকল্পে আদালত তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারেন।
(৫) অস্ত্র আইনের ২৫ ধারা মোতাবেক কোনো বেআইনী বা অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধারের নিমিত্তে আদালত তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারেন।
(৬) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০০ ধারার বিধান মোতাবেক অবৈধভাবে আটককৃত কোনো ব্যক্তিকে উদ্ধার করার জন্য আদালত তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারেন।
(৭) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৫ ধারার বিধান মোতাবেক যে সকল ক্ষেত্রে তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যু করা যায়, সেই সকল ক্ষেত্রে কোনো ম্যাজিষ্ট্রেট নিজে উপস্থিত থাকিয়া তল্লাশীর আদেশ দিতে পারেন।
(৮) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ২৩ ধারা মোতাবেক সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন পুলিশ অফিসার অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার জন্য বিনা পরোয়ানায় তল্লাশী করিতে পারেন।
(৯) প্রকাশ্য জুয়া আইন ১৮৬৭ এর ৫ ধারা মোতাবেক যে কোন পুলিশ অফিসার জেলা পুলিশ সুপার অথবা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদেশে জুয়া খেলার স্থান তল্লাশী করিতে পারিবেন।
(১০) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৫ ধারা্র বিধানমতে যখন কোনো পুলিশ অফিসার তদন্তের সময় যুক্তিসংগতভাবে বিশ্বাস করেন যে, যেই অপরাধ সম্পর্কে তদন্তের জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই অপরাধের তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো জিনিষ (আলামত) থানা এলাকার কোনো স্থানে পাওয়া যাইবে, সেই স্থান তিনি নিজেই তল্লাশী করিতে পারিবেন অথবা অন্য কোনো পুলিশ অফিসার দ্বারা তল্লাশী করাইতে পারিবেন।
(১১) ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৬ ধারা্র বিধানমতে কোন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অফিসার ইনচার্জ) অথবা সাব-ইন্সপেক্টর পদের নিম্নে নহেন এইরূপ কোনো তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তাহার নিজের থানার সীমার মধ্যে যেইরূপ তল্লাশী করিতে পারিবেন, সেইরূপ একই বা ভিন্ন কোনো জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্বারা যেকোনো স্থান তল্লাশী করাইতে পারিবেন।
(১২) পুলিশ আইন ১৮৬১ এর ২৩ ধারার বিধানমতে সকল পুলিশ অফিসার যেকোনো সরাবখানা, জুয়ার আড্ডা বা সন্দিগ্ধ এবং উচ্ছৃংখল চরিত্রের লোকদের সমাগমের স্থানে বিনা পরোয়ানায় প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে পারিবেন।