⚖️ মামলার বিচারকালে আসামী খালাস পাওয়ার কারণ কি?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 18 hours ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
-
মামলার বিচারকালে আসামী বিভিন্ন কারণে খালাস পেতে পারে। তম্মধ্যে কিছু কারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো। যথা-
(১) ত্রুটিপূর্ণ এজাহার লিপিবদ্ধ করা এবং গ্রহণ করা।
(২) ত্রুটিপূর্ণ জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা অর্থাৎ পিআরবি ২৮০ প্রবিধান মোতাবেক নির্ধারিত ফরম অনুসারে জব্দ তালিকা প্রস্তুত না করা।
(৩) মামলার তদন্ত সঠিকভাবে না করে ত্রুটিপূর্ণ তদন্ত করা।
(৪) মামলার জব্দকৃত আলামত যেমন- চোরাই উদ্ধার মালামাল, ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ইত্যাদি বিচারের সময় আদালতে উপস্থাপন না করা।
(৫) এক মামলার আলামত অন্য মামলায় আদালতে উপস্থাপন করা।
(৬) আলামত সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করে নষ্ট করে ফেলা।
(৭) গুরত্বপূর্ণ সাক্ষী আসামীর দ্বারা প্রভাবিত হওয়া।
(৮) পিআরবি ৪৪৪ প্রবিধান অনুসারে তদন্তকারী অফিসার কর্তৃক অভিযোগ পত্র দাখিলের পর কোর্ট অফিসার কর্তৃক মামলার ব্রিফ প্রদান না করা।
(৯) তদন্তকারী অফিসার এবং মামলা পরিচালনাকারী অফিসারের আইন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকা।
(১০) সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষীর কাঠগড়ায় হাজির হওয়ার পূর্বে মামলা পরিচালনাকারী অফিসার কর্তৃক মামলা সম্পর্কে সাক্ষীকে ব্রিফিং না করা।
(১১) তদন্তকারী অফিসার মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে এবং ঘটস্থলে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ না করে থানায় বসে সাক্ষীদের জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করা এবং মামলার তদন্তকার্য পরিচালনা করা।
(১২) চোরাই উদ্ধার আলামত কোর্টে না পাঠিয়ে তদন্তকারী অফিসার কর্তৃক বাদীর বা অন্য কোনো ব্যক্তির জিম্মায় প্রদান করা।
(১৩) তদন্তকালে তদন্তকারী অফিসার কর্তৃক নিরপেক্ষ সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী লিপিবদ্ধ না করা।
(১৪) ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক জবানবন্দী লিপিবদ্ধ না করা।
(১৫) চোরাই উদ্ধার মালামাল সনাক্ত করার জন্য ম্যজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে টিআই প্যারেডের ব্যবস্থা না করা।
(১৬) সন্দিগ্ধ আসামীকে সনাক্ত করার জন্য ম্যজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে টিআই প্যারেডের ব্যবস্থা না করা।
(১৭) অভিযোপত্র দাখিলের সময় অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে কোন আসামীর কি অপরাধের জন্য কতো ধারার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে তা উল্লেখ না করা এবং এজাহারে বাদীর অভিযোগ, সাক্ষীর জবানববন্দী, মামলার আলামত ও তদন্তকারী অফিসার কর্তৃক দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের মিল না থাকা।
(১৮) সাক্ষীদের জবানবন্দীতে কোন আসামী কোন অপরাধে জড়িত তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না করা।
(১৯) মামলার ঘটনাস্থলে জব্দকৃত আলামত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ না করে থানায় বসে জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা এবং জব্দকৃত আলামতের গায়ে সাক্ষীর সাক্ষর না নেওয়া এবং লেবেল না লাগানো।
(২০) ঘটনার সময় সাক্ষীদের অবস্থান এবং কোন সাক্ষী কি ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে তা সঠিকভাবে উল্লেখ না করা।
(২১) ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র বা স্কেচ ম্যাপ সঠিকভাবে প্রস্তুত না করা।
(২২) বাদী ও বিবাদী কর্তৃক মামলার আপোষ মীমাংসা করা।