⚖️ কোন রেজিষ্টারকে থানার আয়না বা দর্পণ বলা হয়?

  • Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
  • Published: 1 week ago
  • Category: পিআরবি
পিআরবি ৩৮০ প্রবিধান মোতাবেক প্রতিটি থানায় একটি করে খতিয়ান পরিদর্শন নিবন্ধন বহি বা রেজিষ্টার রক্ষণা-বেক্ষণ করা হয়ে থাকে। ইহা থানার রেজিষ্টার সমূহের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রেজিষ্টার। থানায় মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথেই এই রেজিষ্টারের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায় এবং তদন্ত শেষে কোর্টে মামলা চুড়ান্ত নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তথা কোর্ট হতে ফাইনাল মেমো (FM) থানায় গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে। তাছাড়াও কোনো মামলায় রিভিশন বা আপীল হলে সেই তথ্যও মন্তব্যের কলামে লেখা হয় এবং রিভিশন বা আপীল চুড়ান্ত নিস্পত্তি হলে সেই ফলাফল অনুসারে এই রেজিষ্টারে প্রতিটি মামলার তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোনো মামলার যাবতীয় তথ্য এই রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ থাকে। আসামী পলাতক থাকলে, গ্রেফতার হলে, জামিনে মুক্ত থাকলে, আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বের সাজার তথ্য থাকলে, চোরাইমাল উদ্ধার থাকলে, আসামী সাজাপ্রাপ্ত হলে বা খালাস পাইলে, কে মামলাটি তদন্ত করেছেন, মামলার রেকর্ডপত্র কতদিন সংরক্ষিত থাকবে, মামলার ঘটনাস্থল কোথায় এবং থানা হতে কতো দুরে, কোন দিকে ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য এই রেজিষ্টারে পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করা হয়। এই রেজিষ্টার পরিদর্শনকালে পর্যালোচনা করলে থানার ও মামলার কার্যক্রমের যাবতীয় তথ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে। তাছাড়া থানার সীমানা, লোকসংখ্যা, থানার লোকবল উহাতে উল্লেখ থাকে। সেই জন্যই থানার খতিয়ান পরিদর্শন নিবন্ধন বহি বা রেজিষ্টারকে থানার আয়না বা দর্পণ বলা হয়। খতিয়ান পরিদর্শন নিবন্ধন বহি বা রেজিষ্টারে সর্বমোট ২৩ টি কলাম রয়েছে। কলামগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।  

(১) মাস ও মামলার নম্বর,

(২) অভিযোগের ধারা,

(৩) ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মামলা নিস্পত্তি ধারা, 

(৪) চোরাই মালামাল, 

(৫) উদ্ধারকৃত মালামাল, 

(৬) তদন্ত প্রত্যাখান, 

(৭) চুড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য,  

(৮ক) চুড়ান্ত প্রতিবেদন মিথ্যা (ইচ্ছাকৃতভাবে),  

(৮খ) চুড়ান্ত প্রতিবেদন তথ্যগত অথবা আইনগত ভূল,

(৮গ) চুড়ান্ত প্রতিবেদন অধর্তব্য,  

(৯) অভিযোগপত্র, 

(১০) সোপর্দ (ব্যক্তিবর্গ), 

(১১) সাজাপ্রাপ্ত, 

(১২) বেকসুর খালাস বা খালাস, 

(১৩) অনিস্পন্ন, 

(১৪) ফেরার, 

(১৫) যে মামলায় ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের সম্পর্কে একমত নহেন, 

(১৬) চোরাই ও উদ্ধারকৃত মালের নিবন্ধন বই (যে পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে),   

(১৭) গ্রাম অপরাধ বহি খন্ড-১, 

(১৮) গ্রাম অপরাধ বহি খন্ড-২, 

(১৯) সূচিপত্রের পৃষ্টা (সাজাপ্রাপ্ত অথবা সন্দেহভাজন), 

(২০) পত্র ইতিবৃত্ত নম্বর,  

(২১) তদন্তকারী অফিসারের নাম,

(২২) বাদীর নাম, ঘটনাস্থলের গ্রাম, ইউনিয়ন , মৌজার নম্বর, থানা হতে দুরুত্ব ও দিক,  

(২৩) রেকর্ড বিনষ্টের বৎসর এবং তারিখ সহ অভিযুক্তকারী অফিসারের অনুস্বাক্ষর।   

Google News Google News
Google News এ বিরাট বাজারের সকল পোস্ট পেতে ক্লিক করে ফিডটি ফলো করুন