⚖️ সংসদ সদস্যকে গ্রেফতারের পদ্ধতি কি?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 2 weeks ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
-
গণপ্রাজাতন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে একজন সংসদ সদস্যকে গ্রেফতার করার বিধান উক্ত বিধির ১৭২ হতে ১৭৬ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে।
কোনো সংসদ সদস্যের গ্রেফতার, আটক ইত্যাদি বিষয় ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক স্পীকারকে অবহিতকরণ (বিধি-১৭২)।
কোনো সংসদ সদস্য ফৌজদারী অভিযোগে বা অপরাধে গ্রেফতার হলে কিংবা কোনো আদালত কর্তৃক কারাদন্ডে দন্ডিত হলে বা কোনো নির্বাহী আদেশক্রমে আটক হলে ক্ষেত্রমত গ্রেফতারকারী বা দন্ডপ্রদানকারী বা আটককারী কর্তৃপক্ষ বা জজ বা ম্যাজিষ্ট্রেট বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ তৃতীয় তফসিলে প্রদত্ত যথাযথ ফরমে অনুরূপ গ্রেফতার, দন্ডাজ্ঞা বা আটকের কারণ বর্ণনা পূর্বক অবিলম্বে অনুরূপ ঘটনা স্পীকারকে জানাবেন।
কোনো সংসদ সদস্যের মুক্তির বিষয় স্পীকারকে অবহিতকরণ (বিধি-১৭৩)।
কোনো সংসদ সদস্য গ্রেফতার হয়ে দন্ড প্রাপ্তির পর আপীলের বিবেচনা সাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হলে বা অন্যভাবে মুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনুরূপ ঘটনাও তৃতীয় তফসিলে প্রদত্ত যথাযথ ফরমে স্পীকারকে জানাবেন।
সংসদের সীমার মধ্যে গ্রেফতার ( বিধি-১৭৪)।
স্পীকারের অনুমতি ব্যতিরেকে সংসদের সীমার মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।
পরোয়ানা জারী (বিধি-১৭৫)।
স্পীকারের অনুমতি ব্যতিরেকে সংসদের সীমার মধ্যে কোনোরূপ দেওয়ানী বা ফৌজদারী পরোয়ানা জারী করা যাবে না।
ম্যাজিষ্ট্রেট প্রমুখের নিকট হতে প্রাপ্ত পত্র সম্বন্ধে করণীয় (বিধি-১৭৬)।
১৭২ বা ১৭৩ বিধি মোতাবেক পত্র পাওয়ার পর স্পীকার যথাশীঘ্র সংসদ অধিবেশনে থাকলে সংসদে তাহা পাঠ করবেন কিংবা সংসদের অধিবেশন না চললে সংসদের অবগতির জন্য তা প্রচার করার নির্দেশ দিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোনো সদস্যের জামিনে বা আপীলে খালাস হওয়ার সংবাদ যদি মূল গ্রেফতার সংসদকে জ্ঞাপনের পূর্বে পাওয়া যায়, তাহলে অনুরূপ গ্রেফতার বা পরবর্তী মুক্তি বা খালাসের সংবাদ স্পীকার সংসদকে না জানালেও চলবে।
তৃতীয় তফসিল
কোনো সংসদ সদস্যের গ্রেফতার বা ক্ষেত্রমত আটক, দন্ডপ্রাপ্তি বা মুক্তি প্রসঙ্গে প্রেরিতব্য পত্রের ফরম।
স্থান ................
তারিখ ................
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার সমীপে।
(ক)
স্পীকার মহোদয়,
আমি আপনার অবগতির জন্য জানাইতেছি যে ................ আইনের ধারা ................ মোতাবেক প্রাপ্ত ক্ষমতাবলে আমি এই নির্দেশ দেওয়া কর্তব্য বলিয়া মনে করিয়াছি যে, ................ কারণে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ................ কে গ্রেফতার/আটক করা হঊক।
সুতরাং, বাংলেদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ................ কে ................ তারিখের ................ ঘটিকায় গ্রেফতার/আটক করা হইয়াছে এবং তাহাকে বর্তমানে ................ (স্থান) এর ................ কারাগারে রাখা হইয়াছে।
(খ)
আমি আপনার অবতির জন্য জানাইতেছে যে, আমার সম্মুখে ................ আদালত ................ অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ................ এর বিচার হইয়াছিল। ................ দিন যাবৎ বিচারের পর ................ তারিখে আমি তাহাকে ................ অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করি এবং ................ (মেয়াদ) এর কারাদন্ডে দন্ডিত করি।
................ আদালতে তাহার আপীলের অনুমতির আবেদন বিবেচনাধীন রহিয়াছে।
(গ)
আমি আপনার অবগতির জন্য জানাইতেছি যে, ................ তারিখে ................ অপরাধে কারাদন্ড প্রাপ্ত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য ................ কে আপীল বিবেচনা সাপেক্ষে জামিনে (অথবা ক্ষেত্রমত)/আপীলের পর দন্ড মওকুফ হওয়ায় মুক্তি দেওয়া হইয়াছে।
আপনার বিশ্বস্ত,
(ক্ষেত্রমত জজ বা ম্যাজিষ্ট্রেট বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ)।