⚖️ জামিন কি?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 6 days ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
জামিনের অর্থ হইতেছে কোনো ব্যক্তিকে আদালত কর্তৃক ধার্য তারিখ সমূহে হাজির করার শর্তে পুলিশ বা আদলতের এখতিয়ার থেকে জামিনদারের হাতে সমর্পণ ।
ফৌজদারী কার্যবিদী আইনের ৪(১)(খ) ধারায় জামিনযোগ্য অপরাধ এবং অ-জামিনযোগ্য অপরাধের সংজ্ঞা দেওয়া হইয়াছে। জামিনযোগ্য অপরাধ বলিতে সেই সকল অপরাধকে বুঝায় যাহা ফৌজদারী কার্যদারীর দ্বিতীয় তফসিলের পঞ্চম কলামে জমিনযোগ্য বলিয়া দেখানো হইয়াছে অথবা যাহা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা জামিনযোগ্য করা হইয়াছে। “অ-জামিনযোগ্য অপরাধ” বলিতে সেই সকল অপরাধকে বুঝায় যাহা ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলের পঞ্চম কলামে জামিনের অযোগ্য বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে অথবা যাহা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা অ-জামিনযোগ্য করা হইয়াছে।
অন্য কোনো আইনে অপরাধের জামিন সম্বন্ধে উল্লেখ না থাকিলে ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলের শেষভাগে “অন্যান্য আইনে সংঘটিত অপরাধ” শিরোনামে অপরাধটি জামিনযোগ্য কিনা তাহা দেখানো হইয়াছে।
জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিনঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৬ ধারায় যে সকল ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা যাইবে তার উল্লেখ আছে, জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত অপর কোনো ব্যক্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার হইলে বা আটক থাকিলে বা আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হইলে বা তাহাকে হাজির করা হইলে সে যেদি উক্ত অফিসারের হেফাজতে থাকার সময় বা উক্ত আদালতের কার্যক্রমের কোনো পর্যায়ে জামানত দিতে প্রস্তুত থাকে তাহা হইলে উক্ত ধারা অনুসারে তাহাকে জামিনে মুক্তি দিতে হইবে।
এই ধারায় আরও উল্লেখ আছে যে, উক্ত অফিসার বা আদালত উপযুক্ত মনে করিলে তাহার নিকট হইতে জামানত গ্রহণের পরিবর্তে জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পদান করিলে তাহাকে মুক্তি দিতে পারিবেন।
জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিনঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় যখন জামিনের অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা যাবে তার বর্ণনা দেওয়া হইয়াছে।
(১) জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি কোনো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার হইলে বা আটক থাকিলে অথবা আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হইলে বা তাহাকে হাজির করানো হইলে তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাইতে পারে। কিন্তু সে মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডনীয় কোনো অপরাধে দোষী বলিয়া বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকিলে তাহাকে মুক্তি দেওয়া যাইবে না। তবে আদালত এই ধরণের অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি ষোল বৎসরের কম বা স্ত্রীলোক বা অসুস্থ বা অক্ষম হইলে তাহাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(২) তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচারের পর্যায়ে উক্ত অফিসার বা আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, আসামী জামিনের অযোগ্য কোনো অপরাধ করিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ নাই এবং তাহার অপরাধ সম্পর্কে আরও তদন্তের পর্যপ্ত কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে এইরূপ তদন্ত সাপেক্ষে আসামীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া যাইবে। আদালত ইচ্ছা করিলে তাহাকে জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদন সাপেক্ষে মুক্তি দিতে পারিবেন।
(৩) কোনো আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে হইলে মুক্তির স্বপক্ষে অবঅই কারণ সমূহ লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।
(৪) কোনো জামিনের অযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার সমাপ্ত হইবার পর (যুক্তিতর্ক শ্রবণ শেষে) এবং রায় প্রদানের পূর্বে কোনো সময় আদালতের যদি বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, আসামী উক্ত অপরাধে দোষী নহে তাহা হইলে আসামী হাজতে থাকিলে রায় শ্রবণের উদ্দেশ্যে হাজির হওয়ার জন্য জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সম্পাদনের পর তাহাকে মুক্তি দিবেন।
(৫) হাইকোর্ট বিভাগ, দায়রা আদালত বা নিজে মুক্তি দিয়া থাকিলে অন্য কোনো আদালত এই ধারা অনুসারে মুক্তিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে ও হাজতে প্রেরণ করিতে পারিবেন।
জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয়সমূহঃ
জামিন অযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করা বা না করা আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল।কিন্তু জামিনের ব্যাপারে কোনো ক্রমেই স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নেওয়া যাইবে না। বিবেচনামূলক ক্ষমতা (discretionary powar) প্রয়োগের ক্ষেত্রে আদালতকে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অবশ্যই বিবেচনায় আনিতে হইবে।
(ক) আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য বলিয়া প্রতীয়মান হয় কিনা।
(খ) আসামীকে জামিনে মুক্তি দিলে সে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকিবে কিনা।
(গ) আসামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হইয়াছে তাহা ঘৃণ্য এবং জন-নিন্দনীয় কিনা।
(ঘ) আসামী অভ্যাসগতভাবে একজন অপরাধী কিনা।
(ঙ) আসামী মুক্ত থাকিলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটিবে কিনা।
(চ) আসামী মুক্ত থাকিলে সাক্ষীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন তথা সাক্ষ্য প্রমাণ বিনষ্ট করার আশংকা থাকিবে কিনা।
(ছ) আসামী হাজতে থাকিলে তাহার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো ব্যাঘাত ঘটিবে কিনা।
(জ) পরিবার পরিজন আসামীর একক আয়ের উপর নির্ভরশীল কিনা।
(ঝ) আসামীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং লিংগ।
(ঞ) অপরাধের প্রকৃতি ও গুরুত্ব।
(ট) জামিনে মুক্তি দিলে আসামী পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা।
(ঠ) আসামীর চরিত্র এবং সামাজিক পদমর্যাদা।
(ড) ছাত্র এবং পরীক্ষার্থী কিনা।
(ঢ) পাল্টা-পাল্টি মামলা (cross case) আছে কিনা।
(ণ) আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করিয়াছেন কিনা।
(ত) আসামী আহত হইয়া থকিলে।
(থ) অপরাধ সংঘটনে আসামীর কতটুকু ভূমিকা আছে।
(দ) আসামীর এজাহারে নাম আছে কিনা।
(ধ) আসামী অনেক দিন যাবৎ হাজতে থাকিলে এবং বিচারকার্য শেষ হইতে আরও অনেক সময় লাগবে বলিয়া মনে হইলে।
(ন) অপরাধ সংঘটনকালে আসামী হাতে নাতে ধৃত হইয়াছে কিনা।
(প) মামলা দায়েরের পর বা অভিযোগপত্র দাখিল করার পর আসামী দীর্ঘদিন ফেরারী ছিলো কিনা।
(ফ) আসামী আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হইয়াছে কিনা।
(ব) সনাক্তকরণ মহড়ায় (Test Identification parade) আসামীকে সংবাদদাতা বা সাক্ষীরা সনাক্ত করিতে সমর্থ হইয়াছে কিনা।
(ভ) পুলিশ হেফাজতে (Police Remand) থেকে ফেরৎ পাঠানোর পর পুলিশ প্রতিবেদনে কোনো তথ্য উদঘাটনের উল্লেখ আছে কিনা।
(ম) আসামীর নিকট হইতে চোরাই বা ডাকাতির মালামাল পাওয়া গেলে।
(য়) আসামী হাজতে থাকিলে তাহার পক্ষে মামলা চালানোর জন্য কেহ আছেন কিনা।
(র) ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নিকটবর্তী কিনা।
যেসব ক্ষেত্রে জামিন বাতিল করা যাইবেঃ
নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে জামিন বাতিল করিয়া আসামীকে হাজতে পাঠানো যাইবে।
(১) যে অপরাধের বিচার চলিতেছে বা যে অপরাধের জন্য শাস্তি হইয়াছে আসামী যদি আবার সেই অপরাধ সংঘটন করে।
(২) জামিনে গিয়া যদি তদন্ত কার্যে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
(৩) যদি আসামী সাক্ষ্য বিনষ্ট করার পায়তারা করে।
(৪) যদি আসামী জামিনদারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলিয়া যায়।
(৫) যদি আসামী পুলিশ অথবা সাক্ষীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার মতো কোনো কাজ করে।
এক আদালতে জামিন হইবার পর মামলাটি অন্য আদালতে বিচারের জন্য বদলী হইয়া গেলে আদালত জামিনে মুক্ত আসামীর জামিন বাতিল করিতে পারেন (৪১ বোম্বে এলআর ১২৩২)।
দায়রা আদালত কর্তৃক জামিন মঞ্জুর প্রত্যাখাত হওয়া সত্বেও ম্যজিষ্ট্রেট পরবর্তীতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করিয়া আসামীর জামিন মঞ্জুর করিতে পারেন (২৭ ডিএলআর ৩২)।
অ-জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে কোনো আদালত কোনো অপরাধীকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করিতে পারেন। কোনো আদালত কোনো আসামীকে পৌরসভার স্থানীয় সীমানার মধ্যে তাহার চলাফিরা সীমিত করিয়া দিনে দুইবার থানায় হাজিরা দিবার শর্তে জামিন মঞ্জুর করিলে, এই আদেশ বে-আইনী হইবে না ( এআইআর ১৯৬৫ অন্ধ ৪৪৪)।
এক আদালতে জামিন মঞ্জুর হইলে এবং পরবর্তীতে অন্য কোনো আদালতে মামলার শুনানী হইলে ঐ আদালত জামিন বাতিল করিতে পারিবেন (৪১ বোম্বে ৫৪৯)।
জামিনদারের অব্যাহতিঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫০২ ধারায় জামিনদারের অব্যাহতি সম্পর্কে বলা হইয়াছে। জামিনে মুক্ত কোনো ব্যক্তির হাজির হইবার জন্য জামিনদারের সকলে বা যে কোনো একজন যে কোনো সময় বন্ডটি সম্পর্কে বা উহার যে অংশ তাহাদের বা তাহার সাথে সম্পর্কযুক্ত সেই অংশ বাতিল করার জন্য যে কোনো ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
এইরূপ আবেদন করা হইলে জামিনমুক্ত ব্যক্তিকে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করিয়া ম্যাজিষ্ট্রেট গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করিবেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা অনুসারে উক্ত ব্যক্তি হাজির হইলে বা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করিলে ম্যাজিষ্ট্রেট বন্ডটি সম্পূর্ণ বা আবেদনকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট অংশ বাতিল করিবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে অন্য জামিনদার সংগ্রহ করিতে বলিবেন এবং সে যদি সংগ্রহ করিতে না পারে তাহা হইলে তাহাকে হাজতে প্রেরণ করিবেন।
আসামী পলাতক হইলে বন্ড বাজেয়াপ্তঃ
ফৌজদারী জার্যবিধির ৫১৪ ধারায় জামিনেমুক্ত আসামী আদলতে হাজির হইতে ব্যর্থ হইলে পূর্বে সম্পাদিত বন্ডটি বাজেয়াপ্ত করিয়া কি পন্থা অনুসরণ করিতে হইবে তার উল্লেখ আছে।
আসামী পলাতক হইলে আদালত বন্ডটি বাজেয়াপ্ত করার কারণ লিপিবদ্ধ করিবেন এবং এইরূপ বন্ডাবদ্ধ ব্যক্তিকে উহাতে উল্লিখিত অর্থ পরিধোধ করিতে অথবা উহা কেনো পরিশোধ করা হইবে না এই মর্মে কারণ দর্শাইতে বলিতে পারিবেন।
যদি পর্যপ্ত কারণ প্রদর্শন করা না হয় এবং অর্থ প্রদান না করা হয় তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের জন্য পরোয়ানা প্রদান করিয়া আদালত উক্ত অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে পারিবেন।
উক্ত অর্থ যদি পরিশোধ করা না হয় এবং সম্পত্তি ক্রোক বা বিক্রয় দ্বারা যদি আদায় করা না হয় তাহা হইলে যে আদালত পরোয়ানা প্রদান করিয়াছিলেন সেই আদালতের আদেশক্রমে বন্ডাবদ্ধ ব্যক্তিকে দেওয়ানী কারাগারে ছয়মাস পর্যন্ত আটক রাখা যাইবে।
আদলত তাহার সুবিবেচনায় বন্ডে উল্লিখিত অর্থের অংশ বিশেষ মওকুফ করিতে এবং অবশিষ্ট অংশ পরিশোধে বাধ্য করিতে পারিবেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীর জামিনঃ
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২৬(১) ধারায় বলা হইয়াছে যে, দন্ডিত ব্যক্তির আপীল সাপেক্ষে আপীল আদলত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া আপীলকৃত দন্ড বা আদেশ কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং আসামী আটক থাকিলে তাহাকে জামিনে বা নিজ মুচলেকায় মুক্তির আদেশ দিতে পারিবেন।
ফৌজদারী কার্যবিধির ৪২৬(২ক) ধারায় বলা হইয়াছে যে, কোনো ব্যক্তি কোনো আদালত কর্তৃক অনধিক এক বৎসর কারাদন্ডে দন্ডিত হইলে এবং উক্ত দন্ড আপীলযোগ্য হইলে এবং দন্ডিত ব্যক্তি আপীল করার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া আবেদন করিলে দন্ডপ্রদানকারী আদালত সন্তুষ্ট হইয়া দন্ডিত ব্যক্তিকে আপীল আদালতের আদেশ লাভের জন্য যে সময় যথেষ্ট বলিয়া মনে করিবেন সেই সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি দিতে পারিবেন। যতদিন দন্ডিত ব্যক্তি জামিনে মুক্ত থাকিবে ততদিন কারাদন্ড স্থগিত থাকিবে।
সুতরাং দেখা যাইতেছে যে, কোনো অপরাধীকে এক বৎসরের অধিক কারাদন্ডে দন্ডিত করা হইলে তাহাকে আপীলের নিমিত্তে জমিনে মুক্তি দেওয়া যাইবে না। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর জামিনের ক্ষেত্রে আসামী পূর্বে জামিনে ছিলো কিনা না, অপরাধের প্রকৃতি ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে।
দন্ডবিধি ব্যতীত অন্যান্য আইনে সংঘটিত অপরাধের জামিনঃ
দন্ডবিধি ব্যতীত প্রচলিত অন্য কোনো আইনে অপরাধের জামিন সম্পর্কে কোনো উল্লেখ না থাকিলে ফৌজদারী কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলের সর্বনিম্নাংশে “অন্যান্য আইনে সংঘটিত অপরাধ” শিরোনামে অপরাধটি জামিনযোগ্য কিনা তাহা দেখানো হইয়াছে। “অন্যান্য আইনে সংঘটি অপরাধ” অনুসারে-
(১) দন্ডবিধি ব্যতীত অন্য যে কোনো আইনে অপরাধের শাস্তির পরিমাণ ২(দুই) বৎসরের কম কারাদন্ড বা কেবল জরিমানা হইলে অপরাধটি জামিনযোগ্য হইবে।
(২) দন্ডবিধি ব্যতীত অন্য কোনো আইনে অপরাধের শাস্তির পরিমাণ ২(দুই) বৎসর কিন্তু সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) বৎসর হইলে অপরাধটি অ-জামিনযোগ্য হইবে।
(৩) দন্ডবিধি ব্যতীত অন্য কোনো আইনে অপরাধের শাস্তির পরিমান ৫(পাঁচ) বৎসরের অধিক হইলে অপরাধটি অ-জামিনঅযোগ্য হইবে।