⚖️ শান্তি রক্ষার জন্য কার্যক্রম সমূহ কি?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 3 weeks ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
-
ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ধারার উদ্দেশ্য হলো অপরাধ প্রতিরোধের জন্য, অপরাধের শাস্তির নিমিত্তে নয়, অর্থাৎ বিগত সময়ের অপরাধের জন্য ইহা শাস্তিমূলক ধারা নয় কিন্তু ভবিষ্যতে যাতে শান্তিভংগ হয়ে কোনো অপরাধের উদ্ভব না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য এ ধারার প্রবর্তন করা হয়েছে। এ ধারায় শান্তি রক্ষার এবং সদাচরণের মুচলেকার বিধান বর্ণিত হয়েছে। এ ধারার আদেশ প্রদান করতে হলে দুটি শর্ত পূরণ করতে হবেঃ
(ক) যে ব্যক্তির উপর এ ধারার আদেশ দেয়া হবে সে ব্যক্তি সম্পর্কে আদালতের মনে এ ধারণার সৃষ্টি হবে যে, ঐ ব্যক্তি শান্তিভংগ করতে পারে অথবা গণশান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।
(খ) ঐ ব্যক্তি এমন কাজ করতে পারে যাতে জনগণের শান্তি বিনষ্ট হয়। এ দুটি অবস্থা যেখানে বিদ্যমান নেই সেখানে এ ধারার আদেশ দেয়া যায় না।
ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭(১) ধারায় বলা হয়েছে যে, যখন কোনো ব্যক্তি শান্তিভংগ করতে পারে, সর্বসাধারণের প্রশান্তি বিনষ্ট করতে পারে বা এমন কোনো আইন গর্হিত কাজ করতে পারে যার ফলে শান্তিভংগ হতে পারে বা সর্বসাধারণের প্রশান্তি বিনষ্ট হতে পারে তখন কোনো মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত ব্যক্তিকে কেনো এক বৎসরের অনধিক কাল শান্তিরক্ষার জন্য জামিনদারসহ বা জামিনদার ব্যতীত একটি মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ দেয়া হবে না, উহার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিতে পারেন। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুরূপ সংবাদ দেয়া হয়েছে সে ব্যক্তি বা যেস্থানে শান্তিভংগ বা প্রশান্তি বিনষ্ট হবার আশংকা রয়েছে সেস্থান যদি উক্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের স্থানীয় এখতিয়ার বা অধিক্ষেত্রের মধ্যে না হয় তাহলে কারণ লিপিবদ্ধ করে অধিক্ষেত্রভুক্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করতে হবে (ফৌজদারী কার্যবিধি ১০৭(২)(৩) ধারা)।
ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দুইভাবে আবেদন করতে পারবেন।
প্রথমতঃ ক্ষতিগ্রস্থ হবার উপক্রম হয়েছে এমন ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে সরাসরি আদলতে নালিশ দায়েরের মাধ্যমে,
দ্বিতীয়াতঃ সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃক দাখিলকৃত প্রসিকিউশন রিপোর্টের মাধ্যমে।
এ ধারার নালিশকারীকে প্রথম পক্ষ এবং যে পক্ষের বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়েছে তাদেরকে দ্বিতীয় পক্ষ বলা হয়।
উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্ত সমূহঃ
(১) যে সংবাদের উপর অত্র ধারা মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করা যায় তা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে যেমন মৌখিক, শপথ পূর্বক বা শপথ ব্যতীত, এমনকি লিখিত নাও হতে পারে (এআইআর ১৯৩০ মাদ্রাজ ৯৭৫, ৯৭৬)।
(২) শুধুমাত্র শান্তিভংগ হতে পারে এ কথার উপর অত্র ধারার কার্যক্রম চলতে পারে না, অন্ততঃপক্ষে শান্তিভংগের যুক্তিযুক্ত আশংকা রয়েছে এরূপ অবস্থা বিরাজমান থাকলে অত্র ধারার কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে (১৯৮০ পিসিআরএলজে ১২৬)।
(৩) অত্র ধারার কার্যক্রমে ম্যাজিষ্ট্রেট কোন পক্ষের আইনতঃ অধিকার রয়েছে তা বিবেচনা করবেন, যদি তা নির্ণয় করা সহজসাধ্য না হয় তবে তিনি একপক্ষকে মুচলেকা প্রদানের আদেশ না দিয়ে উভয়পক্ষকে মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ দিবেন (এআইআর ১৯৪৩ লাহোর ৯৯)।
(৪) ম্যাজিষ্ট্রেট পুলিশ রিপোর্ট গ্রহণ করতে বাধ্য নন, কোনো পুলিশ অফিসার প্রতিপক্ষ কর্তৃক শান্তিভংগের কোনো আশংকা নেই এ মর্মে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করলেও ম্যাজিষ্ট্রেট অত্র ধারায় কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবেন (পিএলডি ১৯৬৫ করাচী ২৯২)।
(৫) শান্তিভংগের সম্ভাবনা এড়াবার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসাবে প্রতিপক্ষকে হাজতে নেয়া যায় বা অন্তরবর্তীকালীন মুচলেকা গ্রহণ করা যায়, কিন্তু ফৌজদ্রী কার্যবিধির ১১৮ ধারা মোতাবেক চুড়ান্ত আদেশ দিবার পূর্বে অবশ্যই সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে (পিএলডি ১৯৬৩ করাচী ৬৭৩)।
(৬) যেহেতু অত্র ধারা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিবারণ মূলক এখতিয়ার সেহেতু উহা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কার্যকর করা বাঞ্চনীয় এবং অত্র ধারার আদেশ দিয়ে আইনসংগত বা দেওয়নী অধিকার খর্ব করা যায় না (৩২ সিডব্লিউএন ৪১৭)।
(৭) অত্র ধারার কোনো কার্যক্রমের আবেদন যখম জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে দাখিল করা হয় তখন তিনি কারণ উল্লেখ পূর্বক নিজে সন্তুষ্ট হলে কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন অথবা কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করে দরখাস্তটির উপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে তিনি তার অধিনস্থ কোনো ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হস্তান্তর করতে পারেন (৬ ডিএলআর ৭৯)।
(৮) আবেদনকারীকে যদি মামলা শুনানীর সময় ডেকে পাওয়া না যায় তবে ম্যাজিষ্ট্রেট অত্র ধারায় গৃহীত কার্যক্রম ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৯ ধারা মোতাবেক নথিভুক্ত করবেন এবং প্রতিপক্ষকে অব্যাহতি দিবেন কিন্তু কিছুক্ষণ পর প্রার্থিক যদি আদলতে হাজির হয় এবং মামলা পুনরুজ্জীবিত করার দরখাস্ত দেন তবে ম্যাজিষ্ট্রেট তা পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন (২৬ ডিএলআর ৩৭৩)।
(৯) অত্র ধারার কার্যক্রমাধীন প্রতিপক্ষকে আসামী হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে কিনা এ সম্বন্ধে বিভিন্ন উচ্চতর আদালতের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কোনো কোনো আদালতের মতে অত্র ধারার কার্যক্রম ফৌজদারী বিষয়ক তাই অভিযুক্ত ব্যক্তি আসামীর পর্যায়ে পড়বে। কিন্তু কোনো কোনো উচ্চতর আদালত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে অত্র ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আসামীর পর্যায়ে পড়ে না এবং যার বিরুদ্ধে মুচলেকার আদেশ দেয়া হয়েছে তাকে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি বলা যাবে না (৩২ ক্যাল ৮০, ৩৬ এলাহাবাদ ২৬২, ৩২৭, সিআরএলজে ৯৪৫)।
(১০) যদি প্রথম পক্ষ কর্তৃক দাখিলকৃত আরজীর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা নেই বলে আদালত বিশ্বাস করেন তাহলে নালিশী আরজীটি নথিভুক্ত করতে হবে। আর যদি প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা থাকে তবে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ধারায় কেনো প্রসিডিং গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে কারণ দর্শানোর জন্য ফৌজদারী কার্যবিধির ১১২ ধারা অনুসারে দ্বিতীয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করতে হবে। অত্র ধারার আদেশ অভিযোগ গঠন করার সমতুল্য। সুতরাং এতে অভিযোগের বিষয়বস্তু সম্পূর্ণরূপে থাকতে হবে (এআইআর ১৯২৬ এ্লাহাবাদ ৭৫৯)।
যদি দ্বিতীয় পক্ষ আদালতে উপস্থিত থাকেন তবে আদেশটি তাকে পড়ে শুনাতে হবে ও বুঝিয়ে দিতে হবে। (ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৩ ধারা)। যদি দ্বিতীয় পক্ষ আদালতে উপস্থিত না থাকে তবে ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে অবশ্যই আদালতে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন আছে মর্মে সমন প্রদান করবেন কিন্তু যখনই আদালতের নিকট প্রতীয়মান হবে যে শান্তিভংগের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে এবং অনুরূপ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা ব্যতীত উক্ত শান্তিভংগের আশংকা কোনো প্রকারে রোধ করা যাবে না সেক্ষেত্রে ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে গ্রেফতারের জন্য যেকোনো সময় পরোয়ানা দিতে পারবেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৪ ধারা)। তবে ক্রোকী পরোয়ানা ইস্যু করার অর্থাৎ দ্বিতীয় পক্ষের সম্পত্তি ক্রোক করার কোনো ক্ষমতা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেই (২৫ সিআরএলজে ৩৫০)। প্রত্যেকটি সমন বা গ্রেফতারী পরোয়ানার সাথে ফৌজদারী কার্যবিধির ১১২ ধারার আদেশের অনুলিপি থাকতে হবে। ম্যাজিষ্ট্রেট সন্তুষ্ট হলে কোনো ব্যক্তিকে তার ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়া হতে অব্যাহতি দিয়ে উকিলের মাধ্যমে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৬ ধারা)।
ফৌজদারী কার্যবিধির ১১২ ধারার আদেশ যখন আদালতে উপস্থিত কোনো ব্যক্তিকে ১১৩ ধারা অনুসারে পড়ে শুনানো ও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা ১১৪ ধারা অনুসারে প্রদত্ত সমন বা গ্রেফতারী পরোয়ানা অনুযায়ী যখন কোনো ব্যক্তি ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হাজির হয়েছে তখন যে খবরের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সে খবরের সত্যতা সম্পর্কে ম্যাজিষ্ট্রেট অনুসন্ধান শুরু করবেন এবং প্রয়োজনবোধে আরও সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৭(১) ধারা)। অনুরূপ অনুসন্ধান সমন মামলার বিচার পরিচালনা ও সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতিতে সমাপ্ত করতে হবে। তবে কোনো অভিযোগ গঠনের প্রয়োজন হবে না (ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৭(২) ধারা)।
ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৭(১) ধারা মোতাবেক অনুসন্ধান চলাকালে ম্যাজিষ্ট্রেট যদি মনে করেন যে, শান্তিভংগের আশংকা প্রতিহত করার জন্য অথবা জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা অবশ্যক তাহলে যথাযথ কারণ লিপিবদ্ধ করে তিনি যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অত্র আইনের ১১২ ধারা মোতাবেক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সে ব্যক্তিকে অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত শান্তি রক্ষার জন্য জামিনদারসহ বা জামিনদার ব্যতীত মুচলেকা সদম্পাদনের জন্য আদেশ দিতে পারবেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৭(৩) ধারা)।
এরূপ অনুসন্ধানের পর যদি ইহা প্রমানিত হয় যে, শান্তি ভংগের আশংকা বিদ্যমান তবে যে ব্যক্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়েছে শান্তি বজায় রাখার জন্য সে ব্যক্তিকে জামিনদারসহ বা জামিনদার ব্যতীত একটি মুচলেকা সম্পাদন করার আদেশ দিতে হবে। অত্র আইনের ১১২ ধারা মোতাবেক প্রদত্ত আদেশে যেরূপ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তদাপেক্ষা ভিন্ন প্রকৃতির বা বড় অংকের বা অধিক সময়ের জন্য জামানত প্রদান করার আদেশ দেয়া যাবে না (ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৮ ধারা)।
ফৌজদারী কার্যবিধির ১১৭ ধারা অনুসারে অনুসন্ধানের পর যদি প্রমাণিত হয় যে, যে ব্যক্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়েছে সে ব্যক্তি কর্তৃক শান্তিরক্ষার মুচলেকা সম্পাদন করার প্রয়োজন নেই তাহলে ম্যাজিষ্ট্রেট মামলার নথিতে কারণ লিপিবদ্ধ করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হতে অব্যাহতি দিবেন (ফৌজদারী কার্যবিধি ১১৯ ধারা)।
উপযুক্ত জামিনদার না হলে ম্যাজিষ্ট্রেট জামিনদার প্রত্যাখ্যান করতে পারেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ১২২ ধারা)। জামানত প্রদানে ব্যর্থ হলে কারাগারে প্রেরণ করতে হবে (ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৩ ধারা)। জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বা মুখ্য মহানগর হাকিম যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, জামানত প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় যে ব্যক্তিকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে সে ব্যক্তিকে মুক্তি দিলে সমাজ বা ব্যক্তি বিশেষের কোনো ক্ষতির আশংকা নেই তখন তাকে অব্যাহতি প্রদানের আদেশ দিতে পারেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৪ ধারা)। মুখ্য মহানগর হাকিম অথবা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কারণ লিপিবদ্ধ করে অধস্তন আদালতের আদেশ মোতাবেক সম্পাদিত শান্তিরক্ষার মুচলেকা বাতিল করে দিতে পারেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৫ ধারা)।
উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্ত সমূহঃ
(১) দরখাস্ত পাঠ করে এবং পক্ষগণের বক্তব্য শ্রবন করে ম্যাজিষ্ট্রেট সন্তুষ্ট হন যে, শান্তিভংগের আশংকা আছে কিন্তু তার সন্তুষ্টির কারণ লিখিতভাবে বর্ণনা করেন নাই, তার আদেশ ত্রুটিযুক্ত হলেও এখতিয়ার ব্যাহত হবে না (২৪ ডিএলআর ২৮)।
(২) আদালত বদলী হলে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ধারায় নতুন প্রসিডিং শুরু করার প্রয়োজন নেই (১৩ ডিডি ২ পি ২৪৩)।
(৩) ফৌজদারী কার্যবিধির ১১২ ধারায় প্রদত্ত আদেশের কপি সমনের সাথে সংযোজিত না হলে গোটা প্রসিডিং অবৈধ হবে এবং জামানতের আদেশ অবশ্যই বাতিল হবে (এআইআর ১৯২৫ নাগ ৩৩)।
(৪) ফৌজদারী কার্যবিধির ১১২ ধারার বিধান পালন না করে ১১৭(৩) ধারার অধীন অন্তরবর্তী মুচলেকা সম্পাদনের আদেশ প্রদান করা হলে উহা যথোপযুক্ত হবে না (১৭ ডিএলআর ৩৮)।
(৫) শান্তিভংগ যদি অত্যাসন্ন হয় এবং তাৎক্ষণিক গ্রেফতার ছাড়া যদি শান্তিভংগ প্রতিহত করা না যায় তাহলে ম্যাজিষ্ট্রেট গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারেন (৩১ ডিএলআর ৩৫৪ এসসি)।
(৬) জরুরী পরিস্থিতে ১১২ ধারার আদেশ প্রদান করার যেকোনো পর্যায়ে ম্যাজিষ্ট্রেট অন্তরবর্তীকালীন আদেশ প্রদান করতে পারেন (২০ ডিএলআর ৭৫৯)।