⚖️ মামলার তদন্ত কখন শুরু হয়?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 1 week ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
-
থানায় এজাহার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামলার তদন্ত শুরু হয়। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৬ ধারার বিধান অনুসারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশ ছাড়াই তদন্ত শুরু করতে পারেন। তাছাড়াও ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৭(১) ধারার বিধান মতে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তার কোনো অধস্তন অফিসারকে যিনি সরকার কর্তৃক এ সম্পর্কে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত পদ অপেক্ষা নিম্ন পদস্থ নয় এমন কোনো অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারেন। এছাড়াও যে কোনো উর্ধ্বতন পুলিশ অফিসার তদন্ত করতে পারেন। তদন্ত করা পুলিশের দয়িত্ব। পুলিশের তদন্তের কাজে ম্যাজিষ্ট্রেট বা অন্য কোনো বিচারক হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এজাহার গ্রহণ করার পর পরই থানায় হউক বা ঘটনাস্থলে হউক পুলিশ অফিসার যা কিছু করবেন তাই তদন্ত বলে গণ্য হবে। যেমন-
(১) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা,
(২) আলামত জব্দ করা,
(৩) সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করা,
(৪) আসামী গ্রেফতার করা,
(৫) আসামীর দেহ বা বাড়ি তল্লাশী করা,
(৬) চোরাই মালামাল উদ্ধার করা,
(৭) ভিক্টিম উদ্ধার করা
(৮) লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা,
(৯) লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা ইত্যাদি।
এজাহার গ্রহণ করার পর যে কোনো ব্যক্তি ঘটনা সম্পর্কে যে সাক্ষ্য প্রদান করবেন উহা ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারার জবানবন্দী বলে গণ্য হবে। মামলার ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করাই তদন্তের উদ্দেশ্য এবং অপরাধীকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বিচারে সোপর্দ করার স্বার্থে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে সাবধানতার সহিত সাক্ষ্য সংগ্রহ করতে হবে। প্রত্যেক সাক্ষীকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী যেনো বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদে বিলম্ব করা যাবে না। প্রয়োজনে সাক্ষীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাসদ করতে হবে অথবা নোটিশের মাধ্যমে সাক্ষীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। বিলম্বে সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিচারকালে মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মামলার এজাহারনামীয় আসামী অথবা সন্দিগ্ধ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর মামলার ঘটনা সমপর্কে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কোনো প্রকার ভয়ভীতি বা মারপিট করা যাবে না। আসামীকে কোন সময়, কোন তারিখে, কোন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা সিডিতে উল্লেখ করতে হবে। গ্রেফতারকালে আসামীর শরীরে কোনো প্রকার যখন বা আঘাতের চিহ্ন থাকলে তাও উল্লেখ করতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা করাতে হবে।
Google News এ বিরাট বাজারের সকল পোস্ট পেতে ক্লিক করে ফিডটি ফলো করুন