⚖️ ফেরারী আসামী কাকে বলে?

  • Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
  • Published: 3 weeks ago
  • Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮৭ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম ৪৭২ মোতাবেক সাক্ষ্য গ্রহনের পূর্বে বা পরে যখন আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ওয়ারেন্ট মূলতবী থাকা সত্বেও আসামী পলাতক রহিয়াছে অথবা ওয়ারেন্ট যাহাতে তামিল না হয় সেইজন্য আসামী আত্মগোপন করিয়া আছে, তখন আদালত উক্ত আসামীকে একটা নির্দিষ্ট তারিখে অর্থাৎ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আসামীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্ধারিত ফরমে একটা লিখিত ঘোষণাপত্র ইস্যু করেন, উহাকে হুলিয়া বলা হয় এবং যে আসামীর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারী করা হয় সেই আসামীকে ফেরারী আসামী বলা হয়। 

হুলিয়া জারী করার পদ্ধতিঃ

হুলিয়া জারী করার পদ্ধতি সমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হইল। 

(১) যেই আসামীর প্রতি হুলিয়া জারী করা হইবে সেই আসামী যেখানে বসবাস করে সেখানে প্রকাশ্য স্থানে পড়িয়া শুনাইতে হইবে।

(২) যেই আসামীর প্রতি হুলিয়া জারী করা হইবে সেই আসামী যেখানে বসবাস করে সেখানে প্রকাশ্য স্থানে হুলিয়ার এককপি লটকাইয়া দিতে হইবে।

(৩) হুলিয়ার এককপি আদালত ভবনের নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে দিতে হইবে। 

(৪) হুলিয়া জারীকারী এই মর্মে একটি লিখিত বিবৃতি দিবেন যে, হুলিয়া নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট স্থানে জারী করা হইয়াছে। 

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮৭ ধারা মোতাবেক যেই আসামীর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারীর আদেশ প্রদান করা হয়, সেই আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত যেকোন সময় ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮৮ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম ৪৭৪ মোতাবেক আসামীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিতে পারেন। 

ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮৮ ধারা মোতাবেক ক্রোককৃত সম্পত্তি সম্পর্কে ৬ মাসের মধ্যে দাবি উত্থাপনের বিধান রহিয়াছে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৮৯ ধারার বিধান অনুসারে যদি কোন ফেরারী আসামী সম্পত্তি ক্রোকের দুই বৎসরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করে বা গ্রেফতার করিয়া আদালতে হাজির করা হয়, সেই ক্ষেত্রে অপরাধীর ব্যাখ্যা সন্তোষজনক বিবেচিত হইলে আদালত ক্রোক সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ বাদ দিয়া বাকি সম্পত্তি অপরাধীকে ফেরত দিতে পারেন। 


উল্লেখ্য যে, হুলিয়া জারী করিতে বাধা দিলে বা হুলিয়া ছিড়িয়া ফেলিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১৭৩ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাইবে।