⚖️ অপরাধ কাকে বলে?

  • Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
  • Published: 2 weeks ago
  • Category: অপরাধ বিজ্ঞান
দেশে প্রচলিত আইনের পরিপন্থি যে কোনো কাজই অপরাধ। করণীয় কাজ না করিলে এবং নিষিদ্ধ কাজ করিলে অপরাধ হয়। অর্থাৎ যে সকল আচরণ বা কাজের জন্য আইনে শাস্তির বিধান আছে, তাহা অপরাধ। অপরাধ সব সময়েই সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইন, বিশেষ আইন এবং স্থানীয় আইনে শাস্তিযোগ্য কাজই হইল অপরাধ। বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ৪০ এবং ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪(ণ) ধারায় অপরাধের সংজ্ঞা প্রদান করা হইয়াছে।


অপরাধ আচরণে মানব মনের ভূমিকা:

অপরাধ আচরণে মানব মনের ভূমিকা অপরিসীম। বিভিন্ন অপরাধ বিজ্ঞানী এবং মনোবিজ্ঞানী অপরাধ আচরণে মানব মনের ভুমিকা প্রসঙ্গে নানারূপ মতামত ব্যক্ত করিয়াছেন। বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড মনকে তিনটি স্তরে ভাগ করিয়াছেন। যেমন- 

(১) সচেতন মন 

(২) অর্ধচেতন মন এবং 

(৩) অবচেতন মন বা অচেতন মন।


মানুষ সমাজবদ্ধ জীব হইলেও সমাজের সবাই কিন্তু অপরাধে জড়াইয়া পরে না। কেউ অপরাধী হইয়া পড়ে আবার কেহ সারাজীবন সৎ থাকিয়া যায়। মানব আচরণ সত্যিই বড় বিচিত্র। এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন মতবাদ প্রচার করিয়াছেন।

মানূষের আচরণ খুবই জটিল প্রকৃতির। প্রধান ও বিশেষ অসুবিধা হইল মানুষের আচরণকে কোনো বিজ্ঞান গবেষণাগারে যন্ত্রপাতি সহযোগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব নহে। অপরাধের ঘটনা প্রবাহ, অপরাধীদের ব্যবহূত কলা কৌশল, কার্যপ্রণালী, বিভিন্ন সূত্র ও চিহ্নাদির তথ্য বিশ্লেষণ, আচরণ এবং অবশেষে বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণাদির বিচার বিশ্লেষণের মাধমে অপরাধের সত্যতা উদঘাটন সম্ভব হয়। এই বিচার বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করিবার জন্য অপরাধ বিজ্ঞানই একমাত্র সহায়ক ভুমিকা রাখিয়া থাকে।


অপরাধ বিজ্ঞান প্রধানত চারভাগে বিভক্ত। যথা-

(ক) আইন বিষয়ক সমাজ বিজ্ঞান 

(খ) অপরাধ কারণ তত্ব 

(গ) শাস্তি বিধান এবং 

(ঘ) ক্রিমিন্যালিষ্টিক।