⚖️ বে-আইনী সমাবেশ কাকে বলে?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 2 weeks ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১৪১ ধারা মোতাবেক পাচ বা তার অধিক সংখ্যক লোক একই সাধারণ লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য পূরণে একত্রিত হইয়া রাষ্ট্র বিরোধি বা শান্তিভঙ্গ বা অনিষ্টকর কার্য বা বলপ্রয়োগ করে বা অন্যকোনো বে-আইনী কাজ করে বা করার প্রচেষ্টা করে তাকেই বে-আইনী সমাবেশ বলা হয়। বে-আইনী সমাবেশে যোগদানকারী ব্যক্তিদের বিরূদ্ধে বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের ১৪৩ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কোনো সমাবেশ প্রথমে বে-আইনী না থাকিলেও পরে বে-আইনী সমাবেশে পরিনত হইতে পারে।
পুলিশ নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করিয়া কোনো বে-আইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করিতে পারে:
(১) বে-আইনী সমাবেশের সংবাদ থানায় পাওয়ার সাথে সাথে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা থানার ডিউটি অফিসার বিষয়টি ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪/১৫৫ ধারা, পুলিশ আইনের ৪৪ ধারা এবং পিআরবি নিয়ম ৩৭৭ মোতাবেক থানার সাধারণ ডায়েরীতে নোট করিয়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক অফিসার ও ফোর্স এবং দাঙ্গাদমন সরঞ্জামাদি সহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইয়া যাইবেন।
(২) বে-আইনী সমাবেশের কাছাকাছি পৌছিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা উর্ধতন কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৫১ ধারা মোতাবেক মৌখিকভাবে উক্ত সমাবেশের সদস্যদেরকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার জন্য নির্দেশ দিবেন এবং সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সদেরকে সরঞ্জামাদি সহ দাঙ্গা দমনার্থে নিজ নিজ স্থানে অবস্থান গ্রহণের ব্যবস্থা করিবেন।
(৩) বে-আইনী সমাবেশকে সতর্কবাণী ও নির্দেশ দেওয়ার পরও যদি তাহারা ছত্রভঙ্গ না হয় তাহা হইলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১২৮ ধারা এবং পিআরবি ১৪৩ ও ১৫৩ বিধি মোতাবেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলপ্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে বিনা পরোয়ানায় বে-আইনী সমাবেশের যে কোনো সদস্যকে গ্রেফতার করিবেন এবং লাঠি চার্জ করিয়া ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করিবেন।
(৪) ম্যাজিষ্ট্রেট সাথে থাকিলে তাহার নির্দেশক্রমে বা ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত না থাকিলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজেই আদেশ নির্দেশ দিবেন এবং প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশ দিবেন এবং জনগণেরও সাহায্য চাহিবেন।
(৫) উল্লিখিত সমাবেশের কোনো সদস্য কর্তৃক দন্ডযোগ্য অপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনা থাকিলে অন্য কোনোভাবে যদি তাহা প্রতিরোধ করা না যায়, তাহা হইলে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫১ ধারা এবং পিআরবি ৩১৬ বিধি মোতাবেক সেই সদস্যকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করিতে হইবে এবং সুপরিকল্পিত বলপ্রয়োগের মাধ্যমে উক্ত সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করিতে হইবে।
(৬) উপরোক্ত পদ্ধতিতে বে-আইনী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ না হইলে বা পরিস্থিতি আয়ত্বে না আসিলে উপস্থিত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১২৯ ধারা এবং পিআরবি ১৫৮ বিধি মোতাবেক সেনাবাহিনী তলব করিতে হইবে এবং ফৌজদারী কার্যবিধি ১৩১ ধারার বিধানমতে গ্রেফতার করা যাইবে।