⚖️ হত্যা বা খুন মামলা তদন্তে হাড় ও চুল কি কাজে লাগে?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 6 days ago
- Category: অপরাধ বিজ্ঞান
-
কোনো হত্যা বা খুন মামলা তদন্তকালে তদন্তকারী অফিসার কয়েক টুকরা হাড় এবং কিছু চুল প্রাপ্ত হয়েছেন। এই হাড়ের টুকরাগুলি তদন্তকারী অফিসার ময়না তদন্তের জন্য মেডিক্যাল অফিসারের নিকট প্রেরণ করলে ডাক্তার হাড়গুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ব্যক্তির জাতি, লিঙ্গ, বয়স নির্ধারণ করতে পারেন এবং অনেক সময় মৃত ব্যক্তির পূর্ণাংগ পরিচয়ও পাওয়া যেতে পারে। তদন্তকালে এই সকল তথ্য মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। হাড়ের উপর যদি কোনো ক্ষত বা জখম থাকে তবে তার ভিত্তিতে কিভাবে ব্যক্তিটিকে খুন করা হয়েছে অর্থাৎ কি ধরণের অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু ঘটেছে তা জানা সম্ভব হয়। সেই অনুসারে তদন্তকালে কোনো অস্ত্র উদ্ধার হলে আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ঘটনার সাথে অপরাধীর যোগসূত্র স্থাপিত হতে পারে।
অপরাধ তদন্তে চুলের ভূমিকাঃ চুল হলো একটি বস্তুসাক্ষ্য। ফলে হত্যা মামলায় চুল গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। মৃত ব্যক্তির সাথে ঘটনার সময়ে হয়তো অপরাধীর ধস্তাধস্তি হয়েছিল যার ফলে অপরাধীর শরীরের কোনো চুল ঘটনাস্থলে বা মৃতদেহের হাতে, কাপড়-চোপড়ে লেগে থাকতে পারে। তদন্তকারী অফিসার এই বস্তুসাক্ষ্য যথানিয়মে জব্দ করে নিয়ম মোতাবেক সিআইডি এর রাসায়নিক পরীক্ষকের নিকট প্রেরণ করলে সংশ্লিষ্ট বিশারদ চুলগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিম্নরূপ মতামত দিতে পারেন।
(১) জব্দকৃত চুল মানুষের কিনা;
(২) এই চুল কোনো পুরুষের না কোনো মহিলার কিনা;
(৩) এই চুল শরীরের কোন অংশের;
(৪) এই চুলের আনুমানিক বয়স কতো;
(৫) এই চুল সন্দিগ্ধ ব্যক্তির কিনা;
(৬) এই চুল মৃত ব্যক্তির চুল কিনা।
তদন্তকারী অফিসার চুল সম্পর্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে অপরাধে জড়িত অপরাধীকে সনাক্ত করতে সক্ষম হতে পারেন। জব্দকৃত চুলের সাথে সন্দিগ্ধ ব্যক্তির চুলের মিল পাওয়া গেলে অতি সহজেই অপরাধীকে সনাক্ত করে হত্যার ঘটনার সহিত যোগসূত্র স্থাপন পূর্বক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অপরাধীকে বিচারে সোপর্দ করা সম্ভব হতে পারে। চুলের গোড়া সহ পাওয়া গেলে DNA পরীক্ষার দ্বারা সঠিকভাবে অপরাধীকে সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
Google News এ বিরাট বাজারের সকল পোস্ট পেতে ক্লিক করে ফিডটি ফলো করুন