⚖️ পুলিশ কর্তৃক আটককৃত মালামাল নিস্পত্তির বিধান কি?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 5 days ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
-
ফৌজদারী কার্যবিধির ৫১ ও ৫২ ধারার বিধান অনুসারে পুলিশ আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে থাকেন। উক্ত ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া যা কিছু পাওয়া যাবে তা কথিত চোরাইমাল বা সন্দিগ্ধ চোরাই বা অপরাধ সংঘটনে জড়িত কোনো মালামাল হিসেবে পুলিশ আটক করতে পারেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৫০ এবং পিআরবি ৩২২ প্রবিধান)।
আটককৃত মালামাল নিস্পত্তিঃ
(১) পুলিশ কর্তৃক আটককৃত মালামাল সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানাতে হবে। ম্যাজিষ্ট্রেট যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন (ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২৩ ধারা এবং পুলিশ আইন ২৫ ধারা)।
(২) আটককৃত সম্পত্তির অধিকারী ব্যক্তি যোগ্য বিবেচিত হলে ম্যাজিষ্ট্রেট মালামাল ফেরত দিতে পারেন।
(৩) সম্পত্তির অধিকারী ব্যক্তি যদি অজ্ঞাত হয়, ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত সম্পত্তি আটক করে একটি ঘোষণাপত্র প্রচার করবেন এই মর্মে যে, ৬ মাসের মধ্যে প্রকৃত মালিক দাবী পেশ করতে পারবে (ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২৩ ধারা এবং পুলিশ আইন ২৬ ধারা।
(৪) ৬ মাসের মধ্যে কোনো দাবিদার না পাওয়া গেলে উক্ত মালামাল সরকারের হেফাজতে থাকবে অথবা নিলামে বিক্রি করা যাবে (ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২৪ ধারা এবং পুলিশ আইনের ২৭ ধারা।
(৫) আটককৃত মালামাল যদি কম মুল্যের হয় এবং দ্রুত ও স্বসাভাবিকভাবে পচনশীল হয়, তবে ম্যাজিষ্ট্রেট পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে কোনো সময় উহা বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২৩ ও ৫২৪ ধারার বিধান অনুসরণ করতে হবে (ফৌজদারী কার্যবিধির ৫২৫ ধারা)। তবে চোরাইমাল হলে বাজেয়াপ্ত করা যাবে (৩০ ডিএলআর ২১৯)।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, পুলিশ অফিসার আটককৃত মালামাল সম্পর্কে যদি ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট রিপোর্ট না করেন এবং কোনো জামিনদারের হেফাজতে রাখেন, সেক্ষেত্রে তা বেআইনী বলে গন্য হবে এবং ক্ষতি পূরণের জন্য দায়ী থাকবেন (পিএলডি ১৯৫১ ঢাকা ৩৩)।