⚖️ কোর্ট পিটিশন থানায় পাওয়ার পর করণীয় কি?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 1 week ago
- Category: ফৌজদারী কার্যবিধি
কোনো ব্যক্তি আদালতে নাসিশ বা অভিযোগ দায়ের করিলে আদালত উক্ত নালিশ বা অভিযোগ পাইয়া বাদীকে বা অভিযোগকারীকে হলফ দিয়া তাহার জবানবন্দী গ্রহণ না করিয়া সরাসরি উহার ভিত্তিতে অভিযোগটি এজাহার হিসাবে গণ্য করিয়া তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিতে পারেন। শর্ত হইল ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৯০ ধারা অনুসারে যে ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতাবান তিনি তাহার এলাকার মধ্যে উপরোক্ত ধরণের নির্দেশ করিতে পারিবেন ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৬(৩) ধারা মতে। যখন কোনো ম্যজিস্ট্রেটের নিকট হইতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপরোক্ত অভিযোগ হস্তগত করিবেন সেইক্ষেত্রে যদি দেখা যায় যে, ইতিপূর্বে পুলিশের নিকট একই ঘটনায় থানায় কোন এজাহার দেওয়া হয় নাই, তাহা হইলে উক্ত অভিযোগ এজাহার হিসাবে গণ্য হইবে এবং এজাহার হিসাবে গণ্য করার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা অফিসার ইনচার্জ তদন্তের জন্য পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন (পিআরবি ২৪৫ (ক) ধারা)।
যেই ক্ষেত্রে উপরোক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিপূর্বে থানায় এজাহার দায়ের করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে অভিযোগটির পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য ম্যজিস্ট্রেটের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে এবং অভিযোগকারী একই অভিযোগ কোর্টে ও থানায় দায়ের করিয়া হয়রানি করার জন্য তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে। যেই ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২০২ ধারা অনুসারে কোনো আমলযোগ্য ঘটনার তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন, সেইক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট একটি তারিখ নির্ধারণ করিয়া থাকেন। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে হয় ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তদন্ত রিপোর্ট পাঠাইতে হইবে অথবা যদি তদন্তে বিলম্ব ঘটে, তবে বিলম্বের কারণ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অবহিত করিতে হইবে।
মামলা রুজুর ব্যাপারে বিলম্বের কারণ ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের বিধান অনুসারে অবৈধ বলিয়া গণ্য হইবে না, তবে বিলম্বের জন্য সন্তোষজনক কারণ না থাকিলে মামলাটি দুর্বল হইবে। যদিও অচল হইবে না কিন্তু আসামী পক্ষ মিথ্যা মামলা বলিয়া দাবী করিবার যথেষ্ট সুযোগ পাইবে। কতো দিনের মধ্যে থানায় এজাহার বা কোর্টে নালিশী মামলা দায়ের করিতে হইবে ইহার সময় সীমা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ও ১৯০ ধারায় উল্লেখ নাই, তবে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৩৪ ধারায় উল্লেখ আছে যে, যদি একই ধরণের তিনটি অপরাধ এক বৎসরের মধ্যে সংঘটিত হয়, সেই ক্ষেত্রে বিচারের সময় আসামী বা অপরাধীকে অভিযুক্ত বলিয়া একটি মামলা রুজু করিয়া অভিযোগ গঠন পূর্বক বিচার করা যাইবে। একই সময়ে একই ঘটনায় পুলিশি ও আদালতে মামলা চলিতে থাকিলে সেইক্ষেত্রে কার্যবিধি আইনের ২০৫ (ঘ) ধারার বিধান মোতাবেক ম্যাজিস্ট্রেট তাহার দ্বারা অনুসদ্ধান ও বিচার কার্যক্রম স্থগিত রাখিবেন এবং উক্ত বিষয় সম্পর্কে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের রিপোর্ট তলব করিবেন। ।