⚖️ সাক্ষ্য কাহাকে বলে?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 2 weeks ago
- Category: সাক্ষ্য আইন
১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারার সংজ্ঞা অনুসারে সাক্ষ্য বলিতে আদালতে যে ঘটনার বিষয়ে বিচার বা তদন্ত হইতেছে, সেই সম্পর্কে কোনো সাক্ষীর যেসব বিবৃতি দেওয়ার জন্য আদালত অনুমতি দেন বা ঐ সাক্ষীর যে সমস্ত বিবৃতি আদালতের প্রয়োজন হয় অথবা আদালতের পরিদর্শন তথা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেসকল বস্তু সাক্ষ্য উপস্থাপিত হয়, সেইগুলিকে বুঝায়।
সাক্ষ্য আইন মোতাবেক সাক্ষ্য দুই প্রকার যথা:-
(১) মৌখিক সাক্ষ্য
(২)দলীলি সাক্ষ্য।
(১) মৌখিক সাক্ষ্য:
কোনো মামলার অনুসন্ধান বা বিচারের কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হইয়া মৌখিকভাবে যে বিবৃতি প্রদান করে, তাহাকে মৌখিক সাক্ষ্য বলা হয়।
মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হইতে হইবে যেমন-
(১) যে বিষয় দেখা যায় সেই সম্পর্কে সাক্ষী তাহার সাক্ষ্যে উল্লেখ করিবেন যে, তিনি উহা দেখিয়াছেন।
(২) যে বিষয় শোনা যায় সেই সম্পর্কে সাক্ষী উল্লেখ করিবেন যে, তিনি উহা নিজে শুনিয়াছেন।
(৩) যে বিষয় কোনো ইন্দ্রিয় দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে উপলব্ধি করা যায়, সেই সম্পর্কে সাক্ষী উল্লেখ করিবেন যে, তিনি তাহার নিজ ইন্দ্রিয় দ্বারা বা কোনো অঙ্গ দ্বারা বিষয়টি উপলব্ধি করিয়াছেন।
(৪) যদি বিষয়টি কাহারও অভিমত বা অভিমতের ভিত্তি সম্পর্কে হয়, তবে যে ব্যক্তি সেই ভিত্তিতে যেই অভিমত পোষণ করেন, তাহাই উল্লেখ করিবেন।
(২) দলিলী সাক্ষ্য:
কোনো লিখিত বা চিহ্নিত বা ভঙ্গী দ্বারা প্রকাশিত বা বর্ণিত বস্তুকে অর্থাৎ ব্যবহূত হইতে পারে বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোনো সমতল পদার্থের উপর কোনো অক্ষর, সংখ্যা বা চিহ্নের সাহায্যে বর্ণিত কোনো বিষয়কে দলিল বলে। কোনো জিনিষের উপর কিছু লিখা, মুদ্রিত, লিথোগ্রাফকৃত অথবা ফটোগ্রাফকৃত সবকিছুই দলিল। কোনো মানচিত্র বা নকশা অথবা ব্যঙ্গচিত্র একটি দলিল। এই সকল দলিল যখন আদালত কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়, তখনই সেইগুলি দালিলিক বা দলিলী সাক্ষ্য।
সাক্ষ্য আইনের ১১৯ ধারার বিধান মতে একজন বোবা লোক কথা বলিতে অক্ষম হইলেও তিনি তাহার বক্তব্য লিখিয়া বা ইশারা-ইংঙ্গিতের দ্বারা আদালতকে বুঝাইতে সক্ষম হইলে সাক্ষী হইতে পারিবেন। তাহাছাড়া প্রকাশ্য আদালতে বধির স্কুলের কোনো শিক্ষককে ডাকিয়া বোবা সাক্ষীর বক্তব্য লিপিবদ্ধ করানো যায়। বোবা সাক্ষীর বক্তব্য মৌখিক সাক্ষ্য হিসাবে গন্য।
সাক্ষ্য আইনের ১৩৪ ধারা মোতাবেক বিচার্য বিষয়ে কতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রয়োজন, তাহা নির্ধারিত নহে।