⚖️ জি আর রেজিস্টার কি?

  • Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
  • Published: 1 week ago
  • Category: পিআরবি

জি আর রেজিস্টার বা জেনারেল রেজিস্টার (GR) কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের তত্ত্বাবধানে একজন এসআই বা এএসআই কোর্টে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে উহা ম্যাজিস্ট্রেটের রেজিস্টার। পিআরবি ৫৩৬ বিধি মোতাবেক বেঙ্গল ফরম নং ৩৮১৭ এর মাধ্যমে একটি বড় আকৃতির বাধানো রেজিস্টারে কার্যক্রম চালানো হয়। এই রেজিস্টারের সংশ্লিষ্ট অনেক কলামে ম্যাজিস্ট্রেটকে স্বাক্ষর করিতে হয়। প্রায় প্রতিদিনই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এসআই বা এএসআই (GRO) কে উক্ত রেজিস্টারটি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থাপন করিতে হয়। থানায় কোনো ধর্তব্য অপরাধে মামলা রেকর্ড হওয়ার পর হইতে মামলাটির চুড়ান্ত বিচার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ঐ মামলার যাবতীয় তথ্যাদী এই রেজিস্টারে লেখা হইয়া থাকে। 


যে সকল তথ্য জেনারেল রেজিস্টারে লেখা হয় তাহা নিম্নে উল্লেখ করা হইলঃ 

(ক) থানায় রুজুকৃত সকল মামলার এজাহারের কপি প্রাপ্ত হইয়া মামলা সংক্রান্তে রিপোর্টকৃত বিষয় লেখা হয় এবং ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষর করেন। 

(খ) এজাহারের কপি পাওয়ার পর কলাম নং ১-৮ পর্যন্ত জিআরও পূরণ করিয়া মামলার নম্বর লিখিবেন এবং একটি বাৎসরিক নম্বর ক্রমিক নং হিসাবে লিখিবেন। ম্যাজিস্ট্রেট কলাম নং ৯-এ স্বাক্ষর করিবেন। মামলার এজাহার পাওয়ার সাথে সাথে জিআরও ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট পেশ করিবেন। 

(গ) এই রেজিস্টারে কোর্টের বাৎসরিক নম্বর দিয়া উহার নিচে যে থানার মামলা, সেই থানার মাসিক নম্বরও লিখিতে হইবে। বাৎসরিক নম্বারটিকে GR নম্বর বলা হয়। 

(ঘ) কোর্ট পিটিশন হইতে থানায় মামলা হইলে এজাহারভুক্ত আসামীদের নাম লাল কালিতে লিখিতে হইবে। 

(ঙ) ফৌজদারী কার্যবিধি ১৭৩ ধারা মোতাবেক থানা হইতে চুড়ান্ত পুলিশ রিপোর্ট পাওয়া গেলে রেজিস্টারের কলাম নং ১০-১৪ পর্যন্ত জিআরও পূরণ করিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট পেশ করিবেন। জিআরও চার্জসিট/ফাইনাল রিপোর্ট নম্বর সহ আসামী ও সন্দিগ্ধ ব্যক্তিদের নাম লিপিবদ্ধ করিবেন। মামলার আলামত তথা মালামাল চুড়ান্ত নিস্পত্তি সংক্রান্তে ম্যাজিস্ট্রেট যে আদেশ দিবেন তাহা ১৬ নং কলামে লেখা হইবে। 

(চ) মামলা নিস্পত্তি হইয়া গেলে ১৬ নং কলামে আদেশের সারাংশ লিখিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর নিতে হইবে। 

(ছ) পরিসংখ্যানগত সুবিধার জন্য পুলিশ কর্তৃক প্রেরিত তথ্য যেমন- তদন্ত হয় নাই, চুড়ান্ত প্রতিবেদন- সত্য, মিথ্যা, আইনগত ভূল, তথ্যগত ভূল, অধর্তব্য ইত্যাদী ১৬ নং কলামে লিখিতে হইবে। 

(জ) দন্ডবিধির  ১২ এবং ১৭ অধ্যায়ের অপরাধে অভিযুক্ত অসনাক্তকৃত ব্যক্তিদের নামের নিচে লাল কালিতে দাগ দিতে হইবে। অন্য জেলার ক্ষেত্রে ডাবল দাগ দিতে হইবে। 

(ঝ) জামিনে মুক্ত ব্যাক্তিদের খালাস দেখানো যাইবে না। 

(ঞ) ফৌজদারী কার্যবিধি ১৭৩ ধারা মোতাবেক মামলা রুজু হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে চুড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল না করিলে লাল কালি দিয়া লিখিতে হইবে। চারবার আসামী রিমান্ডে নেওয়া হইলে ১৫ নং কলামে লাল কালি দিয়া নোট করিতে হইবে। 

(ট) আসামী পলাতক থাকিলে লাল কালিতে ক্রশ চিহ্ন দিতে হইবে। 

(ঠ) অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ৮ নং কলামে এবং পলাতকদের ১২ নং কলামে লিখিতে হইবে। (ফেরারী উল্লেখ করিতে হইবে)। 

(ড) পূর্বে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম লাল কালিতে PC লিখিয়া ২১ নং কলামে উঠাইতে হইবে। মামলায় সাজা প্রদান করা হইলে আদেশ লিখিতে হইবে লাল কালিতে। 

(ঢ) ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৬৫ ধারা অনুসারে কোনো আদেশ হইলে মন্তব্য কলামে PRT 565 লিখিতে হইবে। 

(ণ) ১৭ নং কলামে ফাইনাল মেমো (FM) প্রেরণের তারিখ লিখিতে হইবে। 

(ত) রেলওয়ে জেলার পুলিশ থানার মামলাগুলিতে লাল কালিতে R লিখিতে হইবে।

(থ) চার্জসিট দাকিলকৃত মামলার আসামী ফেরারী থাকিলে উল্লেখ করিতে হইবে।