⚖️ পর্ণগ্রাফী কি?

  • Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
  • Published: 1 month ago
  • Category: অপরাধ বিজ্ঞান
পর্ণগ্রাফী বলিতে যৌন উত্তেজক সামগ্রী বা নগ্ন নারী-পুরুষের ছবি সম্বলিত কাগজপত্র, পুস্তক-পুস্তিকা, প্রচারপত্র ইত্যাদি প্রদর্শন করাকে বুঝানো হইয়া থাকে। নারী-পুরুষের যৌন মিলনের কলা-কৌশল সংক্রান্ত যাবতীয় খুটিনাটি বিষয়সমূহ ছবি বা  ভিডিও এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হইয়া থাকে। পর্ণগ্রাফীর মাধ্যমে সমাজের তরুণ প্রজন্মকে কলুষিত করা হইয়া থাকে। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সবারই প্রবল আকর্শণ থাকে। বিশেষ করিয়া যুবক বা তরুণরাই প্রথমে আকৃষ্ট হইয়া থাকে। এই আকর্ষণ খুবই দুর্বার। অজানাকে জানার জন্য বিশ্বভ্রমাণ্ডের সবাই অধীন। তাই নতুন প্রজন্ম অতি আগ্রহে এই সামাজিক অবক্ষয়ের আগুনে ঝাপাইয়া পড়ে। হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। ভলোমন্দ বুঝার ক্ষমতাই থাকে না। মাদকের নেশার মতোই পর্ণ সামগ্রী বা পর্ণগ্রাফীর সাথে যাহারা জড়িত থাকে বা জড়াইয়া পড়ে, তাহারা সকলেই নেশাগ্রস্থ হইয়া পড়ে। নেশার টাকা সংগ্রহ করার জন্য নেশার আসক্ত ব্যক্তিরা এমন কোনো কাজ নাই যাহা তাহারা করিতে না পারে। পর্ণ ছবি দেখার জন্য, ভিডিও ক্যাসেট সংগ্রহ করার জন্য যেখানে যাওয়া প্রয়োজন সেখানেই যাইতে পারে, যতটাকা লাগে তাহা খরচ করিতে পারে এবং যাদের সাথে যোগাযোগ করা দরকার, তাদের সাথে যোগাযোগ করিতে পারে। সম্মানী লোকের অসম্মান করিতে পারে। পর্ণদ্রব্য আসক্ত তরুণেরা যে কোনো ধরণের অপরাধে জড়িত হইতে পারে, সমবয়সী অন্যদেরকে বিপদগামী করিতে পারে এবং চোরাবালির পংকিলে নিমগ্ন হইতে পারে- যেখান হইতে সমাজের এই সকল তরুণদের বাহির হইয়া আসা সম্ভবপর হয় না। সমাজের নৈতিক অবক্ষয় তথা মূল্যবোধ এমনি করিয়া তরুণরা হারাইতে থাকে। সামাজিক নৈতিক অবক্ষয় এমনই যে-উহা হইতে সমাজে অন্য অবক্ষয়গুলিও সৃষ্টি হয়। তবে মূলে থাকে তরুণদের প্রথম বয়সে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঐ পর্ণগ্রাফী। যেন এক রহস্যময় দুনিয়া-যাহার আকর্ষণ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাইতে থাকে এবং নৈতিক অবক্ষয়ের সাথে সাথে সমাজে অন্যান্য অবক্ষয়গুলিও মাথাচাড়া দিয়া উঠে। 

 

তাই বলা যায় যে-পর্ণগ্রাফী সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করে। 

 

সমাজে পর্ণগ্রাফীর প্রভাব বন্ধ করিতে হইলে প্রথমেই প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে। পরিবার হইতেই এই শিক্ষা চালু করিতে হইবে। স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করিতে হইবে। কেননা, নৈতিকতা বলিতে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করাকেই বুঝিয়া থাকে। তাই নৈতিকতা নিয়ন্ত্রণ করাই প্রধান কাজ। নৈতিকতা নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর নিয়ন্ত্রণ তথা বিবেককে জাগ্রত করিতে হইবে। নিজের এবং সমাজের বিবেককে জাগ্রত করিতে হইবে। পরিবার হইতে যদি শিশু নৈতিক শিক্ষা লাভ করে তবে শিক্ষা সমাজেরও কাজে লাগিবে। ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ দ্বারা মন নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেইভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি হইবে। মানুষ প্রাকৃতিক নিয়মকানুন, অনুশাসন আয়ত্ব করিয়া তাহার পরিনামে সুখ ও শান্তি লাভ করিবে। ভালোমন্দের পার্থক্য যদি কেউ সঠিকভাবে বুঝিতে পারে, তবে সেই ব্যক্তি কখনো মন্দের দিকে যাইবে না। ইহাই প্রকৃতির নিয়ম। নিয়ম-শৃংখলাই জীবন। অন্যথায় বিপদ আসন্ন। সামাজিক মূল্যবোধগুলি পদে পদে শিখিতে হইবে, তবেই অবক্ষয় জনিত বিভ্রান্তি হইতে মুক্তি লাভ হইবে। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। এই কথাটি মনে রাখিয়া চলিতে হইবে। কেননা, সঙ্গ দোষেই বদ বা খারাপ অভ্যাসগুলি মানুষ আয়ত্ব করে। পূর্ব পুরুষ তথা মহাজনদের আপ্ত বাক্যগুলি নিজের জীবনে চর্চা করিতে হইবে। পরিবার, সামাজিক প্রতিষ্টান, শিক্ষা প্রতিষ্টান, ক্রিড়াঙ্গনে, ধর্মীয় প্রতিষ্টানে পর্ণগ্রাফীর কুফল সম্পর্কে সংশ্লিষ্টকে বুঝাইয়া সচেতন করিতে হইবে। মিডিয়াতে প্রচারের মাধ্যমে এবং 

Google News Google News
Google News এ বিরাট বাজারের সকল পোস্ট পেতে ক্লিক করে ফিডটি ফলো করুন