⚖️ এসআর মামলা কাকে বলে?
- Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
- Published: 4 hours ago
- Category: পিআরবি
-
খুনসহ ডাকাতি মামলা পুলিশী কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং চাঞ্চল্যকর মামলা হিসাবে গণ্য। পিআরবি ১১১৬ প্রবিধান মোতাবেক এই ধরণের মামলা বিশেষ রিপোর্ট (SR) মামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসআর মামলা সম্পর্কে বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে থাকেন। প্রত্যেকটি এসআর মামলাই পুলিশ সুপার তদন্ত তদারকী করে থাকেন। তাই এই ধরণের মামলা রুজু হওয়ার পর হতে সঠিক তদন্ত ও মামলাটি আদালতে চুড়ান্তভাবে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ গুরুত্ব সহকারে নজরদারী করা হয়ে থাকে। থানার অফিসার ইনচার্জকে ব্যক্তিগতভাবে এই ধরণের মামলা রুজু করে তদন্তের ব্যবস্থা করতে হয়।
এসআর মামলার এজাহার লিপিবিদ্ধ করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য রেখে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হয়। যাতে এজাহারে কোনোরূপ ত্রুটি বিচ্যুতি না থাকে।
(১) সর্বপ্রথম প্রাপ্ত সংবাদটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৪ ধারা এবং পিআরবি ২৪৩ প্রবিধান)।
(২) প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এজাহার) মৌখিকভাবে গ্রহণ করে থানার অফিসার ইনচার্জকে নিজে বিপি ফরম নং ২৭ এর কলাম পূরণ করে মামলা নিতে হবে।
(৩) সংবাদদাতাকে এজাহার পড়ে শুনাতে হবে এবং তার স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে।
(৪) এজাহার বহিতে সংবাদের বিষয়টি লিখতে হবে এবং নির্ধারিত স্থানে মামলা রুজুকারী অফিসারের নাম ও পদবী তারিখসহ লিখে স্বাক্ষর করতে হবে।
(৫) ইহাতে থানার মাসিক নম্বর (মামলা নম্বর) এবং বাৎসরিক নম্বর লিখতে হবে।
(৬) ইহাতে অপরাধের ঘটনাস্থল, তারিখ ও সময়, থানা হতে দুরুত্ব, অপরাধের বিবরণ, আইনের ধারা এবং ডাকাতদল কর্তৃক লুন্ঠিত মালামালের আনুমানিক মূল্যসহ সনাক্তযোগ্য চিহ্ন উল্লেখ করতে হবে।
(৭) অভিযুক্ত ব্যক্তির পুরা নাম-ঠিকানা, বয়স উল্লেখ করতে হবে।
(৮) এজাহার দাখিলে বিলম্ব হলে, বিলম্বের যুক্তিসংগত কারণ লিখতে হবে।
(৯) এজাহার তিন কপি লিখতে হবে।
(১০) এসআর মামলায় এজাহারের সর্বউপরে ঘটনাস্থলে যাতায়াতের পথ এবং থানা হতে উহার দুরুত্ব ও দিক উল্লেখ করতে হবে।
তাছাড়াও এজাহার লিপিবদ্ধ করার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলি এজাহারে সন্নিবেশিত করতে হবেঃ
(১) ঘটনায় মোট কতজন অপরাধী জড়িত ছিলো।
(২) অভিযুক্ত এবং সন্দিগদ্ধ ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা, বয়স, গায়ের রং ।
(৩) তাদের মাথার চুল লম্বা না খাটো তথা শারীরিক বর্ণনা।
(৪) পরনে কি ধরণের পোষাক ছিলো।
(৫) অভিযুক্ত বা সন্দিগ্ধদের হাতে কি ধরণের অস্ত্র ছিলো।
(৬) তারা কোন ভাষায় কথা বলেছিলো।
(৭) ঘটনাস্থলে তারা কতক্ষণ ছিলো।
(৮) কোন দিক দিয়ে ঘটনাস্থলে ঢুকেছিলো এবং বাহির হয়ে কোন দিকে চলে গিয়েছিলো।
(৯) ঘটনাস্থলে ভিকটিমকে (মৃত ব্যক্তিকে) কি দিয়ে, কে, কেমন করে আঘাত করে খুন করেছে।
(১০) ঘটনাস্থলের অন্য বাসিন্দাকে বা আগত প্রতিবেশীকে মারপিট করেছে কিনা।
(১১) ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে কিনা।
(১২) ঘটনাস্থলে কোনো অস্ত্রশস্ত্র বা আলামত ফেলে গেছে কিনা।
(১৩) ঘটনাস্থলে মৃত লাশটি কোথায় কিভাবে পড়ে আছে।
(১৪) ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আছে কিনা।
(১৫) লুন্ঠিত মালামালের বিবরণ এবং আনুমানিক মূল্য কতো।
(১৬) অজ্ঞাত ডাকাতদের পুনরায় দেখলে বাদী বা সাক্ষীগণ চিনতে পারবে কিনা।