⚖️ এন্টিমর্টেম ও পোস্টমর্টেম কি?

  • Author: MD Sirajul Islam, Inspector of Police
  • Published: 1 week ago
  • Category: অপরাধ বিজ্ঞান

জখম বা আঘাত মূলত দুই প্রকার। যথা-

(১) সাধরণ জখম এবং

(২) গুরুতর জখম। 

গুরুতর জখম বা আঘাতের জন্যই জখমপ্রাপ্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে থাকে। কোনো ব্যক্তির জীবিত অবস্থায় অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্বে যে সকল জখম বা আঘার ঐ ব্যক্তির উপর করা হয়, তাকেই এন্টিমর্টেম বা প্রাক মৃত্যু জখম বা আঘাত বলা হয়। অন্যদিকে পূর্বের কোনো আঘাত বা জখমের জন্য জখমপ্রাপ্ত হয়ে কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে অথবা স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করলেও যদি কেউ সেই মৃত্যুদেহের উপর সামান্য বা গুরুতর জখম বা আঘাত করে, তবে মৃত্যু পরবর্তী সেই সকল জখম বা আঘাতকে পোস্টমর্টেম বা মৃত্যু পরবর্তী আঘাত বলা হয়। 

 

          অর্থাৎ এন্টিমর্টেম জখম বা আঘাত করা হয় জীবিত ব্যক্তির উপর এবং পোস্টমর্টেম জখম বা আঘাত করা হয় মৃত্যু ব্যক্তির উপর।  

 

আঘাতজনিত মামলার তদন্তকালে তদন্তকারী অফিসারকে উল্লিখিত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য বেশ গুরুত্বারোপ করে তদন্তকার্য পরিচালনা করতে হয়। যেমন-

(১) মৃত্যু দেহের উপর পুনরায় জখম বা আঘাত করে বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করা বা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কাউকে অভিযুক্ত করা এবং সাক্ষ্য সৃষ্টির মাধ্যমে ঘটনা জটিল করা (Fabrication of false charge) হয়েছে কিনা। 

(২) কেউ মৃত্যু সংঘটনের পর বিচার বা শাস্তি হতে রেহাই পাওয়ার মানসে (Avold punishment) পুনরায় আঘাত করেছে কিনা। 

(৩) অপরাধ গোপন বা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য (Concealment of Crimes) মৃত্যু দেহের উপর কোনো আঘাত করা হয়েছে কিনা। 

 

তাছাড়াও তদন্তকারী অফিসারকে মৃত্যুদেহ পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে-

(১) ক্ষতের রক্তের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কিনা। 

(২) থেতলানো জখমে রক্ত জমাট বেধেছে কিনা।

(৩) জখমে রক্তক্ষরণের চিহ্ন আছে কিনা।

(৪) চামড়ার নিচে কোনো রক্ত জমাট বেধেছে কিনা।

(৫) জখমের পাশে ফোলা চিহ্ন আছে কিনা। 

Google News Google News
Google News এ বিরাট বাজারের সকল পোস্ট পেতে ক্লিক করে ফিডটি ফলো করুন