" সাক্ষ্য আইনের ৫৩ ধারা মোতাবেক ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির ভালো চরিত্র প্রাসঙ্গিক। এই মর্মে আদালতে তথ্য উপস্থাপন করা হইলে সাক্ষ্য আইনের ৫৪ ধারা মোতাবেক আসামীর খারাপ চরিত্রও আদালতে প্রাসঙ্গিক হয় এবং সেখানে ব্যাখ্যা (২) অনুসারে পূর্ববর্তী দণ্ডাদেশ খারাপ চরিত্রের সাক্ষ্য হিসাবে প্রাসঙ্গিক হইবে।  পূর্বরর্তী দণ্ডাদেশ সাক্ষ্য আইনের ৫৪ ধারা ছাড়াও অন্যান্য কিছু ধারা ও অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক হইতে পারে। যেমন-(১) সাক্ষ্য আইনের ৭ ধারা অনুসারে কোনো বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে, চুরির দায়ে সাজাপাপ্ত কোনো ব্যক্তি জেল পলাতক হইলে পরে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ২২৪ ধারার বিচারকালে ঐ ব্যক্তির পূর্ববর্তী ডণ্ড প্রাসঙ্গিক হইবে।  (২) সাক্ষ্য আইনের ৮ ধারা মোতাবেক অপরাধের মোটিভ হিসাবে পূররবর্তী দণ্ড প্রাসঙ্গিক হইবে। (৩) সাক্ষ্য আইনের ৯ ধারা অনুসারে কোনো প্রাসঙ্গিক বিষয়কে সমর্থন করিবার জন্য পূর্ববর্তী দণ্ড প্রাসঙ্গিক। (৪)সাক্ষ্... " Learn More

সাক্ষ্য আইন

" তদন্তকারী পুলিশ অফিসার তাহার তদন্তকালে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬০ ধারার বিধান মোতাবেক যে কোনো সাক্ষীকে ডাকিয়া তাহার জবানবন্দী গ্রহণ করিতে পারেন। পুলিশ অরিসার তখন ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারা মোতাবেক উক্ত জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেন। এইরূপ লিপিবদ্ধকৃত তথা সাক্ষী কর্তৃক প্রদত্ত জবানবন্দী বা উহার যেকোনো অংশ প্রমাণ সাপেক্ষে আদালতে সাক্ষ্য আইনের ১৪৫ ধারার বিধান অনুসারে অপরপক্ষের সাক্ষ্য খণ্ডনের জন্য আদালতে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইতে পারে। তাছাড়া সাক্ষ্য আইনের ১৫৭ ধারার বিধান মোতাবেক তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের নিকট প্রদত্ত জবানবন্দী পরবর্তীতে আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকালে পূর্বের সেই বিবৃতি সাক্ষীর সাক্ষ্যের সমর্থনে প্রমাণ করা যাইতে পারে। অর্থাৎ পূর্বে প্রদত্ত জবানবন্দী বা বিবৃত সাক্ষ্য প্রদানকালে আদালতে সমর্থনমূলক সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য।  কোনো ব্যক্তির মৃত্যুকালীন বিবৃতি পুলিশ অফিসার কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হইলে সেই জবানবন্দীও আদালতে স... " Learn More

সাক্ষ্য আইন

" কোনো আসামীর স্বীকারোক্তি ফৌজদারী কার্যবিধি আইন মোতাবেক করা হইয়া থাকে। সাক্ষ্য আইনে স্বীকারোক্তির কোনো সংজ্ঞা প্রাদান করা হয় নাই। সাক্ষ্য আইনের ২৪-৩০ ধারায় আসামীর স্বীকারোক্তির প্রাসঙ্গিকতা এবং গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বলা হইয়াছে।  ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক কোনো আসামীর এই স্বীকারোক্তি যেকোনো প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৩৬৪ ধারার নির্দেশিত পদ্ধতিতে করিয়া থাকেন। যেমন- আসামীকে ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হাজির করা হইলে তাহার হাতকড়ি খুলিয়া পুলিশ সরাইয়া দেওয়া হয় এবং ম্যাজিষ্ট্রেট আসামীকে নিজ পরিচয় দিয়া অভয় প্রদান করেন, স্বীকারোক্তি করিলে কি ফল হইতে পারে তাহা ভালো করিয়া বুঝাইয়া দেন। আসামী যখন সবকিছু বুঝিতে সক্ষম হইবে, তখন ম্যাজিষ্ট্রেট তাহাকে ধীরে সুস্থে চিন্তা করার জন্য আরও তিন ঘন্টা সময় দেন। ঐ সময় শেষ হওয়ার পর স্বীকার করিলে উহা তাহার (আসামীর) বিরুদ্ধে ব্যবহার হইতে পারে। তারপর ম্যাজিষ্ট্রেট ছয়টি প্রশ্ন করে... " Learn More

সাক্ষ্য আইন

" সাক্ষ্য আইনের ১১৮ ধারায় একজন সাক্ষীর যোগ্যতা/অযোগ্যতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হইয়াছে। এই ধারার বিধান মোতাবেক যে ব্যক্তি আদালতে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন বুঝিতে পারে না এবং উহার যুক্তিসঙ্গত উওর দিতে পারে না, তিনি অযোগ্য সাক্ষী। অর্থাৎ আদালতে জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন বুঝিয়া সঠিকভাবে যুক্তিসঙ্গত উত্তর প্রদান করিতে পারাই ঐ সাক্ষীর যোগ্যতা। একজন বোবা লোকও আদালতে লিখিয়া বা ইশারা বা ইঙ্গিত প্রদান করিয়া যুক্তিসঙ্গগতভাবে প্রশ্নের উত্তরটি আদালতকে বুঝাইতে পারিলে, ইহাও সেই সাক্ষীর যোগ্যতা বুঝাইবে (সাক্ষ্য আইনের ১১৯ ধারা)। এই ধারামতে নিম্ন আদালত হইতে খালাসপ্রাপ্ত একজন আসামীর সপথপূর্বক দেয়া সাক্ষ্য উচ্চ আদালতে পূনর্বিচারের গ্রহণীয় সাক্ষ্য হইতে পারে (PLD 1953 Lah 495)।  সাক্ষ্য আইনের ৪৫ ধারা মোতাবেক তৃতীয় পক্ষের মতামতকে প্রাসঙ্গিক করা হইয়াছে। যেমন- উক্ত ধারায় বিদেশী আইন বিষয়ে, বিজ্ঞান অথবা চারুকলা বিষয়ে, হস্তলিপি বা টিপসহির সনাক্তকরণ বিষয়ে কোনো আদালতকে যখন ক... " Learn More

সাক্ষ্য আইন

" সাক্ষ্য আইনের বিধানমতে ফৌজদারী অপরাধ প্রমাণ করিবার দায়িত্ব মামলার বাদীপক্ষের উপর বর্তায়। সাক্ষ্য আইনের ১০১ ধারা অনুসারে অভিযোগ দায়েরকারী (বাদী) কেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করিতে হইবে। অর্থাৎ অভিযোগের অস্তিত্ব বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ আদালতে হাজির করিয়া বাদীপক্ষকেই তাহা প্রমাণ করিতে হইবে।  সাক্ষ্য আইনের ১০২ ধারামতে যদি কোনো পক্ষই আদালতে সাক্ষ্য হাজির না করে, তবে যে পক্ষের হার হইবে, তাহার উপরেই প্রমাণের দায়িত্ব বর্তাইবে। যে ব্যক্তি আদালতকে কোনো বিষয়ের অস্তিত্ব বিশ্বাস করাইতে চায়, সেই বিষয়টি প্রমাণের দায়িত্ব সেই ব্যক্তিরই। সাক্ষ্য আইনের ১০৩ ধারা।  সাক্ষ্য আইনের ১০৪ ধারার বিধানমতে যখন কোনো ব্যক্তি কোনো ঘটনার সাক্ষ্য দিতে চায়, যাহা অন্য একটি ঘটনার উপর নির্ভরশীল, তখন সেই ব্যক্তিকেই এই অন্য ঘটনাটির প্রমাণের দায়িত্ব নিতে হইবে। তাছাড়া কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি তাহার অপরাধ সংক্রান্তে দন্ডবিধির ব্যতিক্রমের আওতায় আসিতে চায়,... " Learn More

সাক্ষ্য আইন
MD Sirajul Islam, Inspector of Police

MD Sirajul Islam, Inspector of Police

" ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারার বিধান অনুসারে পুলিশের নিকট সর্বপ্রথম লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো আমলযোগ্য অপরাধের যে সংবাদ পৌছে, তাহাই এজাহার বা প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (First information report) বলিয়া অভিহিত (PRB-243)। এজাহারের আইন সংগত মূল্য নিম্নে উল্লেখ করা হইল। (১) এজাহার থানায় লিপিবদ্ধ হওয়ার পরপরই আদালতে পাঠাইতে হইবে। (২) সাক্ষ্য আইন মোতাবেক আমলযোগ্য কোনো অপরাধের সংদবাদ থাকিলেই ইহা সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয়। এজাহার কোনো মামলার সবচেয়ে পূর্বের রেকর্ড বলিয়া ইহা আদালতকে সমর্থন করে এবং  আদালত বুঝিতে সক্ষম হন যে, শুরুর সময় এজাহারকারীর কি অভিযোগ ছিল এবং পরে কোনো অলংকরণ করা হইয়াছে কিনা। এজাহার কোনো মামলার তথ্য ভান্ডার নহে। এজাহার আইনের গতিকে পরিচালিত করে এবং সেই অনুসারে তদন্তকালে তথ্য সংগৃহীত হয়। এজাহার কখনো মৌলিক সাক্ষ্য হিসাবে আদালতে গ্রহণীয় নহে। তবে এজাহার সাক্ষ্য আইনের ১৪৫ ধারা এবং ১৫৭ ধারা মোতাবেক বাদী বা সংবাদদাতার সাক্ষ্য... " Learn More

সাক্ষ্য আইন

" ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৭ ধারায় স্বীকৃতির সংজ্ঞা প্রদান করা হইলেও কোথাও স্বীকারোক্তির সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নাই। তবে উক্ত আইনের ২৪ হইতে ৩০ ধারা সমূহে স্বীকারোক্তির বিষয় সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে। কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক তাহার কৃত অপরাধ সরাসরি স্বীকার করা বুঝায়। নিজেকে জড়াইয়া যে বিবৃতি দেওয়া হয় তাহাই স্বীকারোক্তি। যে সকল কাজের দ্বারা অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে, বিবৃতিতে সেই সকল বিষয় থাকিতে হয়। এই বিবৃতি স্বেচ্ছা প্রণোদিত হইতে হয়। ভয়, প্রলোভন বা ফুসলাইয়া বিবৃতি গ্রহণ স্বীকারোক্তি নহে। সাক্ষ্য আইনের ২৪ হইতে ২৬ ধারায় বিবৃতি স্বীকারোক্তি হিসাবে গণ্য হয় না। তাই এইগুলি আইনে প্রাসঙ্গিকতা পায় না।সাক্ষ্য আইনের ২৭ ধারায় পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন কোনো ব্যক্তির দোষ স্বীকারোক্তি প্রাসঙ্গিক হয় না, যদি না তাহার এইরূপ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযোগের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোনো আলামতের অর্থাৎ অপরাধ সংক্রান্ত কোনো বস্তুর সন্ধান পাওয়া যায় এবং সেই অনুসারে যদি কোন আ... " Learn More

সাক্ষ্য আইন
MD Sirajul Islam, Inspector of Police

MD Sirajul Islam, Inspector of Police

" মৃত্যুকালীন ঘোষণা (Dying Declaration) বা মৃত্যুকালীন জবানবন্দী বলিতে কোনো ব্যক্তি তাহার আসন্ন মৃত্যুর পূর্বে তাহার মৃত্যুর কারণ বা যে ঘটনার ফলে তাহার মৃত্যু আসন্ন বা কোনো মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে একটি ঘোষোণা বা বিবৃতি দিয়া যায়, তাহাই মৃত্যুকালীন ঘোষণা। মৃত্যুকালীন ঘোষণাপত্রে মৃত্যু ব্যক্তির স্বাক্ষরিত হইতে হইবে।নিম্নলিখিত কারণে মৃত্যুকালীন ঘোষণা গ্রহণযোগ্য: (সাক্ষ্য আইনের ৩২(১) ধারা এবং পিআরবি নিয়ম ২৬৬)।(১) প্রাসঙ্গিক বিষয়ে লিখিত বা মৌখিক জবানবন্দী  অর্থাৎ মৃত্যুকালীন ঘোষণা প্রদান করিয়াছেন।(২) ঘোষণা প্রদানকারীর মৃত্যু হইলে (সাক্ষ্য আইনের ৩৩ ধারা)(৩) সাক্ষ্য প্রদানকারী ইত:মধ্যে সাক্ষ্য প্রদানে অক্ষম হইয়াছে।(৪) এই ঘোষণা প্রদানকারীর বিবৃতিতে যদি তাহার মৃত্যুর কারণ বর্ণনা থাকে।(৫) এই বিবৃতি লিখিত হইলে যিনি লিখিয়াছেন, তাহাকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে হইবে।(৬) এই বিবৃতি মৌখিক হইলে, যাহারা শুনিয়াছেন, তাহারা আদালতে সাক্ষ্য দিবেন।(৭) এই ঘোষণা গৃহ... " Learn More

সাক্ষ্য আইন
MD Sirajul Islam, Inspector of Police

MD Sirajul Islam, Inspector of Police

" ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারার সংজ্ঞা অনুসারে সাক্ষ্য বলিতে আদালতে যে ঘটনার বিষয়ে বিচার বা তদন্ত হইতেছে, সেই সম্পর্কে কোনো সাক্ষীর যেসব বিবৃতি দেওয়ার জন্য আদালত অনুমতি দেন বা ঐ সাক্ষীর যে সমস্ত বিবৃতি আদালতের প্রয়োজন হয় অথবা আদালতের পরিদর্শন তথা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেসকল বস্তু সাক্ষ্য উপস্থাপিত হয়, সেইগুলিকে বুঝায়। সাক্ষ্য আইন মোতাবেক সাক্ষ্য দুই প্রকার যথা:-(১) মৌখিক সাক্ষ্য (২)দলীলি সাক্ষ্য। (১) মৌখিক সাক্ষ্য: কোনো মামলার অনুসন্ধান বা বিচারের কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হইয়া মৌখিকভাবে যে বিবৃতি প্রদান করে, তাহাকে মৌখিক সাক্ষ্য বলা হয়।  মৌখিক সাক্ষ্য অবশ্যই প্রত্যক্ষ হইতে হইবে যেমন-(১) যে বিষয় দেখা যায় সেই সম্পর্কে সাক্ষী তাহার সাক্ষ্যে উল্লেখ করিবেন যে, তিনি উহা দেখিয়াছেন।(২) যে বিষয় শোনা যায় সেই সম্পর্কে সাক্ষী উল্লেখ করিবেন যে, তিনি উহা নিজে শুনিয়াছেন।(৩) যে বিষয় কোনো ইন্দ্রিয় দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে উপ... " Learn More

সাক্ষ্য আইন

Dotted Shape Dotted Shape
পাওনা টাকা আদায় করার পদ্ধতি
চাঁদাবাজির শাস্তি
চুরি ছিন্তাই দস্যুতা এবং ডাকাতি কি?
পাওনা টাকা আদায় করার পদ্ধতি পাওনা টাকা আদায় করার পদ্ধতি

পাওনা টাকা আদায় করার পদ্ধতি

Read More
চাঁদাবাজির শাস্তি চাঁদাবাজির শাস্তি

চাঁদাবাজির শাস্তি

সকল চাদা চাদাবাজি নয় আবার সকল চাদাবাজিও চাদা নয়। আইনের ভাষায় যদি কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে অন্য কোন ব্যক্তিকে ভয় দেখাইয়া অসাধুভাবে বলপূর্বক কোন সম্পত্তি আদায়...

Read More
চুরি ছিন্তাই দস্যুতা এবং ডাকাতি কি? চুরি ছিন্তাই দস্যুতা এবং ডাকাতি কি?

চুরি ছিন্তাই দস্যুতা এবং ডাকাতি কি?

চুরি, ছিন্তাই, দস্যুতা এবং ডাকাতির পার্থক্য না বুঝার কারণে অনেকে থানায় গিয়ে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেন ফলে তাদেরকে পুলিশী সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে যায়।...

Read More